জোড়া বিক্ষোভ দাঁইহাটে

কয়েক মাস ধরেই নির্দিষ্ট সময়ে বেতন মিলছে না, মিলছে না বকেয়া টাকাও— এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন দাঁইহাটের অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা। এ দিনই আবার পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে তুলে বিক্ষোভ দেখান দাঁইহাট শহর তৃণমূলের নেতারা। স্মারকলিপিও দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০১:২৫
Share:

পুরসভায় বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

কয়েক মাস ধরেই নির্দিষ্ট সময়ে বেতন মিলছে না, মিলছে না বকেয়া টাকাও— এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন দাঁইহাটের অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা। এ দিনই আবার পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে তুলে বিক্ষোভ দেখান দাঁইহাট শহর তৃণমূলের নেতারা। স্মারকলিপিও দেন।

Advertisement

অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের অভিযোগ, চার মাস ধরে সময়ে বেতন মিলছে না। গত পুরবোর্ড বকেয়া টাকা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পাচ্ছেন না কোনও কর্মী। এমনকী, সাফাইয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁদের দাবি। এ দিন সকাল ৯টা থেকে ঝাঁটা, ঝুড়ি, কোদাল হাতে পুরসভায় বিক্ষোভ শুরু করেন ওই ৭৪ জল কর্মী। গোবিন্দ হরিজন, তিরু হরিজন, বিশু কাদরদের দাবি, ‘‘শুধু বেতন পেতে দেরি হওয়াই নয় হোলি ও পুজোর বোনাস পাচ্ছি না আমরা। এ দিকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ চলছে। যারা দু’মাস হল কাজে ঢুকেছে তারা বেতন পেয়ে গিয়েছে।’’ পুরপ্রধান ঘনিষ্ঠদের আগে বেতন দেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। তাঁদের আরও দাবি, সোমবার পুরকর্মীদের বেতন সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে গেলে তিনি এক দিনের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাতেও লাভ হয়নি। পুরপ্রধান বিদ্যুৎ ভক্তের দাবি, তিনি কিছু জানেন না।

পরে বিকেল ৪টে নাগাদ পুরসভার দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে দ্বিচারিতার অভিযোগে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেন শহর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে যাওয়া নর্দমা সংস্কার, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘাট রোড ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা সংস্কার, ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে গরিবদের ঘর না পাওয়া, শিশুউদ্যান সংস্কার, বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন কিছুই হয়নি। শহর তৃণমূল কমিটির সম্পাদক রনজিৎকুমার সাহা ও পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিশিরকুমার মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘পুরসভায় দীর্ঘদিন ধরে বিনা টেন্ডারে কাজ হচ্ছে। সদস্যদর বক্তব্য রেজ্যুলিউশন লিপিবদ্ধ হচ্ছে না। জলকর মকুবের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা নেওয়া হচ্ছে।’’ পরে দাইহাট ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিধায়কর সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সিপিএম পুরপ্রধান বিদ্যুৎবাবু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement