বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরায় যান্ত্রিক গোলযোগ রয়েছে। হাজিরার সঠিক পরিসংখ্যান উঠছে না। এই অভিযোগে সোমবার ইসিএলের দুর্গাপুরের ঝাঁঝরা কোলিয়ারিতে ঘণ্টা দেড়েক কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিক-কর্মীরা। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেস’। পরে খনি কর্তৃপক্ষের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসের পরে বিক্ষোভ ওঠে।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ওই খনিতে দৈনিক গড় উৎপাদন প্রায় সাড়ে চার হাজার টন। প্রায় ১৮০০ শ্রমিক-কর্মী কাজ করেন ওই খনিতে। ২০১৪ সালের অগস্টে প্রথম ওই খনিতে খাতায় সইয়ের পরিবর্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়। এই পদ্ধতিতে শ্রমিক-কর্মীরা কখন কাজে এলেন ও কখন বেরোলেন, তা ছবি-সহ কম্পিউটারে নথিবদ্ধ থাকে। নতুন এই হাজিরা পদ্ধতি চালুর বিরুদ্ধে কোলিয়ারির সব ক’টি শ্রমিক সংগঠনকে নিয়ে গঠিত ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’ কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি ছিল, আগে থেকে না জানিয়ে শ্রমিক-কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দিয়ে এই হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। একাধিক বার ক্ষোভ জানান তাঁরা। পরে অবশ্য সবাই নতুন হাজিরা পদ্ধতি মেনে নেন।
সম্প্রতি আবার শ্রমিক-কর্মীরা অভিযোগ আনছেন। তাঁদের অভিযোগ, যান্ত্রিক কারণে ওই হাজিরা পদ্ধতিতে সঠিক পরিসংখ্যান নথিবদ্ধ হচ্ছে না। বিভাগীয় খাতায় হাজিরার হারের সঙ্গে অনেকেরই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরায় সামঞ্জস্য থাকছে না।
কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের পক্ষে দেবাশিস পাঁজা বলেন, ‘‘সম্প্রতি কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ শুধু যান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাজিরাই গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে শ্রমিক-কর্মীরা সমস্যায় পড়বেন। মাসের শেষে আসা বেতনের স্লিপের দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে আছি। যদি সমস্যা দেখা যায়, তা হলে ফের আন্দোলন নামব আমরা।’’