শিবিরে করে গ্রামের সমস্যা মেটাল প্রশাসন

কথা দিয়েছিলেন জেলাশাসক। কথা রাখল প্রশাসন। গত ২৫ জুন জেলাশাসক, জেলা সভাধিপতি ও প্রশাসনের কয়েক জন কর্তা রাত জেগে বারাবনির নাদাই ও তালকানালি গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যা শুনেছিলেন। তখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ৪ জুলাই, সোমবার ফের শিবির করে গ্রামের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রতিশ্রুতি মতো এ দিন ফের শিবির করে বিভিন্ন সমস্যার চটজলদি সমাধানের চেষ্টা করা হয় বলে গ্রামবাসীরা জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৬ ০১:১১
Share:

কথা দিয়েছিলেন জেলাশাসক। কথা রাখল প্রশাসন।

Advertisement

গত ২৫ জুন জেলাশাসক, জেলা সভাধিপতি ও প্রশাসনের কয়েক জন কর্তা রাত জেগে বারাবনির নাদাই ও তালকানালি গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যা শুনেছিলেন। তখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ৪ জুলাই, সোমবার ফের শিবির করে গ্রামের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রতিশ্রুতি মতো এ দিন ফের শিবির করে বিভিন্ন সমস্যার চটজলদি সমাধানের চেষ্টা করা হয় বলে গ্রামবাসীরা জানান।

গত ২৫ জুন, এই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে শিবির করেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু ও প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের কাছে পেয়ে নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, জাতিগত শংসাপত্র নিতে বেশ খানিকটা দূরে অসানসোলে যেতে হয়। অনেক সময়ে আবার আসানসোলের অফিসে গিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয় না। এর জেরে দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেন, বিপিএল তালিকার অন্তর্গত এলাকার গৃহহীনদের জন্য বাড়ি বানিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়াও এলাকার রাস্তা, পানীয় জল, খেলার মাঠ প্রভৃতি নিয়ে বাসিন্দারা বিভিন্ন দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। সে দিন জেলাশাসক আশ্বাস দেন, ৪ জুলাই ফের শিবির করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই নাদাই গ্রামে ছিল সাজোসাজো রব। তালকানালি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় শিবিরের। শিবিরের কথা আগেভাগেই প্রচার করা হয় বলে জানান প্রশাসনের কর্তারা। তাই এ দিন আকাশের মুখ ভার থাকলেও তা উপেক্ষা করেই শিবিরে ভিড় জমান বাসিন্দারা। কম্পিউটার নিয়ে চলে আসেন প্রশাসনের কর্মীরাও।

প্রশাসনের সূত্রে খবর, এ দিনের শিবির থেকে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া, গৃহহীনদের আবেদনপত্রর জমা নেওয়া ও তার অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায় সেরে ফেলা-সহ বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। প্রায় একশো জন গৃহহীন মানুষ বাড়ির জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সোমবার পুরো কাজটির দায়িত্বে ছিলেন বারাবনির বিডিও অনিমেষ মান্না। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশে এই শিবির করা হয়েছে। শিবির থেকে বাসিন্দারা তাঁদের প্রয়োজন খানিকটা হলেও মেটাতে পেরেছেন।’’

প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি গ্রামবাসীরাও। জাতিগত শংসাপত্র নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল সোনামনি হেমব্রম বলে, ‘‘কষ্ট করে আর আসানসোলে যেতে হল না। এখান থেকেই পেয়ে গেলাম।’’ জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে এলাকায়। সে সবেরও সমাধান করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement