বর্ধমান স্টেশনের বাইরে চলছে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
বারবার দুর্ঘটনা, কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। তার মধ্যে ফের দুর্ঘটনা ঘটল বর্ধমান শহরের নির্মীয়মাণ রেল উড়ালপুলের কাছে। মঙ্গলবার সকালের ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। সন্ধ্যায় তার জেরে প্রায় দু’ঘণ্টা বর্ধমান স্টেশন অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দা, নিত্যযাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সাইকেল নিয়ে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের পুরনো সেতু থেকে বর্ধমান শহরের দিকে নামছিলেন সাজিত রায় (৫৮)। আচমকা একটি গাড়ির ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। মুহূর্তে পিছন থেকে একটি গাড়ি এসে পিষে দিয়ে চলে যায় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পুলিস জানায়, সজিতবাবুর বাড়ি রায়ানে। লটারি বিক্রি করতেন তিনি। দুর্ঘটনার পরে কর্তব্যরত ট্রাফিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। ময়না-তদন্তের পরে এ দিন সন্ধ্যায় দেহ নিয়ে ফেরার পথে বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে দেহ ফেলে রেখে অবরোধ শুরু করেন এলাকার লোকজন। বাড়ি ফেরার ভিড়ে অবরোধের জেরে যানজটও হয়।
অবরোধকারী সঞ্জয় রায়, বিশ্বেশ্বর চৌধুরী, অর্ক রায়নস্করদের ক্ষোভ, দীর্ঘদিন ধরে এই রেলসেতুর কাজ চলছে। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক কালেই প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। তার পরেও কোনও সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পেশায় শিক্ষক তরুণ কোনারের দাবি, ‘‘যতদিন কাজ চলছে ততদিন ধুলোর দাপটে কিছু দেখা যায় না। ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে রোজ। তাও সকলে নির্বিকার সকলে।’’ কবে কাজ শেষ হবে সেই নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
কলকাতার মাঝেরহাটের সেতু ভাঙার ঘটনার পরে বর্ধমান সেতুটিও বিশষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানোর পরে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড। সোমবার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকও হয় ওই নিগমের কর্তাদের। এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছটা থেকে অবরোধ শুরু হয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার পরে অবরোধ উঠে যায়।