প্রেমে ‘প্রত্যাখ্যান’, যুবতীর মুখ-হাত পুড়ল গরম তেলে

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের আগেও ওই যুবতীকে উত্ত্যক্ত করত ফজল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০২
Share:

বিয়ের আগেও ওই যুবতীকে উত্ত্যক্ত করত ফজল।

সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন যুবতী। রাত দেড়টা নাগাদ আচমকা তাঁর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় বাড়ির অন্যদের। দেখা যায়, জানালা দিয়ে ছোড়া গরম তেলে মুখ ও শরীরের একাংশ পুড়ে গিয়েছে ওই যুবতীর। তাঁর অভিযোগ, পড়শি যুবকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার মাসুল দিতে হল এ ভাবে।

Advertisement

বুধবার রাতে কেতুগ্রামের এহিয়াপুরের ওই ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে এ দিন কাটোয়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পরে ছাড়া পান ওই মহিলা। পুলিশকে মৌখিক ভাবে তাঁরা জানিয়েছেন, পড়শি ফজল দফাদারই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত গ্রামছাড়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের আগেও ওই যুবতীকে উত্ত্যক্ত করত ফজল। বছর দশেক আগে কাশ্মীরের বান্ডিকুরায় বিয়ে হয়ে যায় ওই যুবতীর। স্বামী ও তিন সন্তানকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন তিনি। বাপেরবাড়িও খুব একটা আসতেন না। তবে মাস দেড়েক আগে ছেলেকে নিয়ে বাপেরবাড়ি আসেন তিনি। মেয়েরা বাবার সঙ্গে কাশ্মীরেই রয়েছে। যুবতীর অভিযোগ, বাপেরবাড়ি আসার পর থেকে ফের উত্ত্যক্ত করা শুরু করে ফজল। পথেঘাটে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু তিনি কোনও ভাবে রাজি না হওয়াতেই এই ঘটনা। ওই তরুণীর ভাইয়ের দাবি, ‘‘দিন সাতেক ধরে দিদির ফোন নম্বর চেয়ে আমাকেও বিরক্ত করছিল ফজল। না দেওয়ায় ভয়ও দেখিয়েছিল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটাবে ভাবতে পারিনি।’’

Advertisement

ওই পরিবারের দাবি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগের দিন রাতে ওই যুবতীর ঘরের বাইরে বারান্দায় শুয়েছিলেন তার এক দাদা। অভিযোগ, রাত দেড়টা নাগাদ বোনের চিৎকারে ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখেন, লাফ দিয়ে পালাচ্ছে ফজল। তাকে ধরেও ফেলেন তিনি। তবে পালিয়ে যায় সে। পরে ঘরে ঢুকে দেখেন, মশারির বাইরে দিয়ে ছোড়া গরম তেলে বোনের মুখ, হাত, ঘাড়ের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। পরের দিন সকালেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ফজল বিবাহিত। গ্রামে পোলট্রির ব্যবসা রয়েছে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement