শ্মশানে চলছে দেহ সৎকার। নিজস্ব চিত্র।
বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। এই ভেবে দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্মশানে। চিতাতে চাপানোও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মুখাগ্নি করার কয়েক মুহূর্ত আগে হঠাৎ নড়ে উঠলেন বৃদ্ধা। যা দেখে হইহই পড়ে যায় শ্মশানে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তার পর চিতা থেকে বৃদ্ধাকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ চিকিৎসাও চলে। তার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ওই বৃদ্ধাকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটেছে এই ঘটনা। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
পাণ্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েতের নামো পাড়ার বাসিন্দা পুষ্পরানি আচার্য (৭৮)। ৮ মাস আগে পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে যায় তাঁর। তখন থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। স্বামী মারা গেলেও দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়া শব্দ না পেয়ে বৃদ্ধার ছেলেরা খবর দেন পাড়া-প্রতিবেশীদের। খবর দেওয়া হলেও করোনার কারণে কোনও চিকিৎসক আসেননি। বহু ডাকাডাকির পর কোনও সাড়া না পাওয়ায় সকলে ভাবেন মারা গিয়েছেন পুষ্পরানি। এর পরই দাহ করার জন্য বৃদ্ধার দেহ স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিতায় ওঠার পর ফের নড়তে শুরু করেন বৃদ্ধা। যা দেখে শ্মশানযাত্রীদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
খবর যায় পাণ্ডবেশ্বর থানায়। পুলিশ এসে বৃদ্ধাকে নিয়ে যায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কিচ্ছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় তাঁর। কী করে একজন জীবিতকে চিতায় তোলা হল, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি অন্ডাল সৈয়দ আনোয়ার বলেছেন, ‘‘পুলিশ খবর পেয়ে গিয়ে দেখে পুষ্পরানি বেঁচে আছেন। পুলিশ তাঁকে দুর্গাপুর মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’