সূরজ সাউ এবং তাঁর চুরি যাওয়া গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
থানায় এসেছিলেন সহকর্মীর চুরি যাওয়া গাড়ির অভিযোগ জানাতে। বেড়িয়ে দেখলেন তাঁর নিজের গাড়িটিও উধাও হয়েছে। তাও আবার থানার সামনে থেকেই! আসানসোলের এই ঘটনায় আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন এলকার ভাড়া গাড়ির ব্যবসায়ীরা।
আতঙ্কের কারণ পরপর দু’টি গাড়ি চুরির ঘটনা। প্রথমটি ঘটেছে সোমবারই। আসানসোল রেলস্টেশনের সামনে থেকে। ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার নাম করে একটি গাড়ি ভাড়া নেন কয়েকজন যুবক। পরের দিন সেই গাড়ির চালককে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশকে ওই গাড়ির চালক নন্দকিশোর প্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁকে নরম পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে কোনও মাদক দ্রব্য খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। অচেতন হয়ে পড়লে তাঁর গাড়ি, পোশাক, সঙ্গে থাকা টাকা, সব ছিনতাই করে আসানসোলে পাঠিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে এর পর। নন্দকিশোর ওই অবস্থায় উদ্ধার করে আসানসোল দক্ষিণ থানায় তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অভিযোগ লেখাতে আসেন সূরজ সাউ নামে এক যুবক। ইনিও আসানসোল স্টেশনে নন্দকিশোরের মতোই ভাড়া গাড়ির ব্যবসা করেন। নিজের গাড়িতেই নন্দকিশোর এবং আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় এসেছিলেন তিনি। রিপোর্ট লিখিয়ে থানা থেকে বেরোতে ১০-১৫ মিনিট সময় লেগেছিল তাঁদের। তার মধ্যেই থানার সামনে রাখা গাড়িটি চুরি হয়ে যায়।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে আসানসোল পৌরনিগম ও আসানসোল দক্ষিণ থানা চত্বরে। গাড়ির চালক এবং ভাড়া গাড়ির ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। থানার সামনে থেকে কী ভাবে দামী গাড়ি চুরি গেল তা দেখতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও।