কেতুগ্রাম

পরিত্যক্ত ঘরে ৯ ব্যাগ বোমা

পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের ঘর থেকে ৯টি ব্যাগে রাখা কৌটো বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের কেতুগ্রামে নিরোল পঞ্চায়েতের সিরুন্দি গ্রাম থেকে বোমাগুলি উদ্ধার হয়। বিকেলে দুর্গাপুর থেকে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা এসে পরিত্যক্ত ঘর থেকে বোমগুলি উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেগুলি নষ্ট করে। এই বোম উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৪
Share:

ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের ঘর থেকে ৯টি ব্যাগে রাখা কৌটো বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের কেতুগ্রামে নিরোল পঞ্চায়েতের সিরুন্দি গ্রাম থেকে বোমাগুলি উদ্ধার হয়। বিকেলে দুর্গাপুর থেকে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা এসে পরিত্যক্ত ঘর থেকে বোমগুলি উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেগুলি নষ্ট করে। এই বোম উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ এলাকার দুই কিশোর পরিত্যক্ত ঘরের একটি কোনে ৯টি নতুন ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। তারা গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানান। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়, ব্যাগগুলিতে বোম থাকতে পারে। তখন তাঁরা কেতুগ্রাম থানায় খবর দেন। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ পৌঁছয়। কিন্তু তখন পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের ঘরটি আবার তালাবন্ধ ছিল। গ্রামবাসীদের কাছে পুলিশ সেই চাবির সন্ধান পায়নি। শেষমেশ তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। ব্যাগের মুখ সরাতেই পুলিশকর্মীরা দেখতে পান, ভিতরে কৌটো বোমা রয়েছে। আর তার পাশে একটি সাদা রঙের বস্তার ভিতরে রাখা আছে বোমা তৈরির উপকরণ। ওই ঘরের ছাদের একাংশ ভাঙা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ব্যাগে মিলেছে ৪৮টি বোমা।

দুর্গাপুরে বম্ব স্কোয়াডে খবর পাঠায় পুলিশ। দুর্গাপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বম্ব স্কোয়াডের তিন জন কর্মী সিরুন্দি গ্রামে পৌঁছন। তাঁরা কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই বোমার ব্যাগগুলি হাতে করে গ্রামের একটি খেতের পাশে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পরপর দু’বার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

Advertisement

গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশকে জানিয়েছেন, মাস দেড়েক আগে বহিরাগত কয়েক জন গ্রামে এসেছিল। গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে ওই বহিরাগতদের তাড়িয়ে দিয়েছিল। গ্রামবাসীদের ধারণা, স্থানীয় কারও সাহায্য নিয়ে সেই বহিরাগতরা পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের ঘরে এই বোমার ব্যাগগুলি রেখে গিয়েছে।

কেতুগ্রামের নানা জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তার জেরে নানা সময়ে বিভিন্ন গ্রামে গোলমাল-অশান্তিও তৈরি হয়েছে। এ দিন বোমা উদ্ধারের পরেই তৃণমূলের স্থানীয় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের একটি গোষ্ঠীর নেতা সাউদ মিঞার অভিযোগ, “আমাদের উপরে আক্রমণ করার জন্য অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা বোমাগুলি লুকিয়ে রেখেছিল।” অন্য এক গোষ্ঠীর নেতা জাহের শেখের পাল্টা দাবি, “কেতুগ্রামের এই এলাকায় অনেক শান্ত। সেখানে অশান্তি পাকানোর জন্যই বোমা জড়ো করে রাখা হয়েছিল।”

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করেছে, এই পরিত্যক্ত ঘরের চাবি কার কাছে রয়েছে, তার খোঁজ পেলেই কারা বোমা রেখেছিল তা জানা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement