—নিজস্ব চিত্র।
কিছু ক্ষণ আগেই লাল পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেছিলেন দু’জন। সেই মিছিল শেষ করেই তাঁরা হাজির তৃণমূলের মঞ্চে। তখনও লাল পতাকা ছিল হাতে। শাসকদলের মঞ্চেই ওই লাল পতাকা নামিয়ে রেখে তাঁরা হাতে তুলে নিলেন জোড়াফুলের পতাকা!
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিষ্ণুপুরের ঘটনা। লাল পতাকা নিয়ে মিছিল করেই রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের সভায় গিয়ে জোড়াফুলে নাম লেখালেন অমরপুর পঞ্চায়েতে সিপিএমের দুই সদস্য। তাঁদের সঙ্গেই সিপিএমের আরও কয়েক জন কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন শাসকদলে। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলেন এলাকার বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। সঙ্গে ছিলেন আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ আব্দুল লালন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বারুই।
অমরপুর পঞ্চায়েতে মোট ১৯ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ১৩ জন। আর সিপিএমের পাঁচ জন ও বিজেপির এক জন। বিষ্ণুপুরের দু’জন সিপিএমের সদস্য মাসকুরা খাতুন ও শেখ আজাহারউদ্দিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এতে অমরপুর অঞ্চলে তৃণমূলের সংগঠন আরও শক্তিশালী হল বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা আব্দুল লালনের। দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আজহারউদ্দিন বলেন, ‘‘আব্দুল লালনের কাজে অনুপ্রাণিত হয়েই তৃণমূলে যোগদান করলাম। কোনও হুমকি বা ভয়ে নয়।’’
সিপিএম যদিও তা মানতে নারাজ। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসার এটা একটা নমুনা। লোকসভা ভোটের পর গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই নানা ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে।’’