ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানে তালিবান-উত্থানে উল্লসিত হয়ে চেন্নাইয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টায় ছিল কয়েকজন বাংলাদেশি যুবকের। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত থেকে তাদেরই মূল চক্রী ধরা পড়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এএনআই, পুলিশ ও বিএসএফের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গির বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। বসিরহাট থানায় আনা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জাহাঙ্গিরকে জেরা করতে শুক্রবারেই বসিরহাটে আসে এনআইএ-র তিনজন তদন্তকারীর একটি দল।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, বছর আঠাশের জাহাঙ্গিরের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার নলড়া গ্রামে। আট বছর আগে চোরাপথে ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে এ দেশে ঢুকেছিল সে। চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করত।
তদন্তকারীদের দাবি, তালিবান বাহিনী আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরে উৎসাহিত হয়ে পড়ে জাহাঙ্গির ও তার জনা দশেক সঙ্গী। এ দেশে কর্মরত আরও কিছু বাংলাদেশি যুবককে নাশকতামূলক কাজের জন্য উৎসাহিত করতে থাকে তারা। তালিবান বাহিনীর প্রশংসা করে তারা মোবাইলে মেসেজ চালাচালিও করত বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় নড়েচড়ে বসে চেন্নাইয়ের গোয়েন্দা বিভাগ। নড়েচড়ে বসে পুলিশও। শুরু হয় ধরপাকড়। দু’জন ধরা পড়ে। বাকিরা কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টায় আছে বলে জানতে পারেন গোয়েন্দা কর্তারা। কয়েকজন বাংলাদেশির ছবি দেশের সীমান্তবর্তী থানা এবং বিএসএফের কাছে পাঠানো হয়ে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। এর পরেই ধরা
পড়ে জাহাঙ্গির।
খবর পেয়ে চেন্নাই পুলিশ যোগাযোগ করে বসিরহাট পুলিশের সঙ্গে। অনুপ্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয় জাহাঙ্গিরকে। তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, চেন্নাই পুলিশের একটি দল আসছে বসিরহাটে।