বাকিবুর রহমান। — ফাইল চিত্র।
রেশন দু্র্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে রয়েছেন বাকিবুর রহমান। চেকে সই করতে পারছেন না বলে তাঁর সংস্থার কর্মীদের বেতন আটকে রয়েছে। বাকিবুরকে চেক এবং ব্যাঙ্ক ফর্মে সই করানোর জন্য আদালতে আবেদন করলেন তাঁর আইনজীবী। পাশাপাশি, তাঁর জামিনের আবেদনও করা হয়েছে ইডির বিশেষ আদালতে।
শুক্রবার ইডির বিশেষ আদালতে ছিল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুরের মামলার শুনানি। সেখানে বাকিবুরের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। পাশাপাশি, তিনি আদালতে জানান, বাকিবুরের মিলে বহু কর্মচারী কাজ করেন। বাকিবুর চেকে সই করতে পারেননি বলে তাঁদের বেতন আটকে রয়েছে। এই বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাকিবুরের আইনজীবী। তিনি জানান, মিলের কর্মচারীদের বেতনের জন্য ১১টি চেক এবং ব্যাঙ্কের ফর্মে সই করানোর অনুমতি দেওয়া হোক বাকিবুরকে।
ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত বিষয়ের সবিস্তার তথ্য বাকিবুরের তরফে দেওয়া হয়নি। সব দেখেই ইডি এ বিষয়ে জানাতে পারবে। ইডির আইনজীবী এ-ও জানিয়েছেন, চেকে উল্লেখ করা ব্যাঙ্কের নম্বর, কী কারণে চেক ইস্যু হচ্ছে, কত টাকা তোলা হচ্ছে, সেই বিষয়গুলিও তাদের জানা প্রয়োজন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বাকিবুরের জামিনের জামিনের আবেদন শুনানি। চেক সংক্রান্ত মামলার শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত অক্টোবরে গ্রেফতার হন বাকিবুর। তার আগে কলকাতার কৈখালির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বাকিবুরের। তিনি রাজ্যের রেশন ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি ইডির। বাকিবুরের বাড়ি থেকে পাওয়া নথির সূত্র ধরেই গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, দু’জনের মধ্যে একটি সূত্রও ছিল।