মঠ-চত্বরে ফাঁড়ির ব্যবস্থা হয়েছিল নিরাপত্তার খাতিরেই। সেই নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য এ বার বেলুড় মঠে ঢোকার সময় মূল ফটকের সামনেই স্ক্যানিং মেশিনে ভক্তদের ব্যাগপত্র পরীক্ষা করা হবে। হাতব্যাগ ছাড়া অন্য সব তল্পিতল্পা জমা রাখতে হবে গেটের সামনের ক্লোক রুমে। কয়েক দিন আগে মঠ-চত্বরে কে বা কারা দু’টি চকোলেট বোমা ফাটায়। তার পরেই মঠের নিরাপত্তা বাড়াতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বেলুড় মঠের জুতোঘরের পাশে পরপর দু’টি পটকা ফাটে। কে বা কারা কী ভাবে ওখানে পটকা ফাটাল, সেই প্রশ্ন ওঠে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাওড়া সিটি পুলিশকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মঠের নিরাপত্তাও বাড়াতে বলেন তিনি। হাওড়ার পুলিশকর্তারা বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার বৈঠকে বসেন। ঘিরে রাখা হয় ঘটনাস্থলও। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেও বেলুড় মঠে যোগাযোগ করা হয়। এই অবস্থায় রবিবার মঠ-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয় পুলিশকর্তাদের।
পুলিশ ও মঠ সূত্রের খবর, বছর দুয়েক আগে বেলুড় মঠের মিউজিয়াম থেকে শ্রীশ্রী মা সারদার দাঁত, চুল, জপের মালা চুরি যায়। সেই ঘটনার পরে জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি থেকে শুরু করে সিসিটিভি-র আওতায় আনা হয়েছে গোটা মঠ-চত্বর। এ বার সিদ্ধান্ত হয়েছে, মঠে প্রবেশের দু’টি ফটকেই স্ক্যানিং মেশিন বা ছাঁকনি-যন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে ক্লোক রুম বা মালখানা তৈরি করা হবে। এ দিন জুতোঘরের পাশের ঘটনাস্থল থেকে বারুদের নমুনা সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তিন প্রতিনিধি। প্রাথমিক তদন্তের পরে ধারণা, সেখানে চকোলেট বোমাই ফাটানো হয়েছিল। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, ‘‘নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসন যেমন পরামর্শ দেবেন, মঠ-কর্তৃপক্ষ সে-ভাবেই সহযোগিতা করবেন।’’