Samik Bhattacharya

আক্রান্ত শমীক ভট্টাচার্য, ছুরি দিয়ে আঙুল কাটার চেষ্টার অভিযোগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে মঙ্গলবার বড়সড় হামলার মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ১৭:২৬
Share:

আক্রান্ত বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।

টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের রেশ কাটেনি। তার মধ্যেই ফের আক্রান্ত বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে মঙ্গলবার বড়সড় হামলার মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। বিনা প্ররোচনায় আচমকা হামলা চালানো হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ করছে। শমীকের গাড়ি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি লুঠপাটও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় শমীক-সহ বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জখমদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করতে চায়নি বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

ডায়মন্ড হারবার এবং ফলতার মাঝামাঝি সহদেবপুর এলাকায় শমীকের উপরে হামলা হয়েছে। শমীকের কথায়, ‘‘কোথাও কোনও প্ররোচনা ছিল না, কোনও গোলমালই ছিল না। আচমকা দেড়শো-পৌনে দুশো লোক লাঠি, রড, বাঁশ, ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তার উপরে উঠে এসে গাড়ি আটকাল। গাড়িটা ভেঙেচুরে দিয়ে সবাইকে নামিয়ে মারধর শুরু করল।’’

ভাঙচুর এবং মারধরের পাশাপাশি লুঠপাটও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শমীকের ফোনটিও হামলাকারীরা কেড়ে নেয়। গাড়িচালকের ফোন থেকে তিনি আনন্দবাজার ডিজিটালকে ঘটনার কথা জানান। শমীকের এক সঙ্গী বলেন, ‘‘হামলার সময় কাছেই পুলিশের জিপ ছিল। আমরা চিৎকার করে সাহায্য চাই। কিন্তু সাহায্য করা তো দূরের কথা, পুলিশ জিপ ঘুরিয়ে পালিয়ে যায়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বিরল এবং ভয়ঙ্কর’, হাথরস কাণ্ড নিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট

শমীকের ওই সঙ্গী আরও বলেন, ‘‘টাকাপয়সা, মোবাইল কেড়ে নেওয়ার পরে দাদাকে (শমীক) ওরা বলছিল, আংটিটা খুলে দিতে। আঙুল থেকে আংটি বেরচ্ছিল না বলে ছুরি নিয়ে এসেছিল। বলছিল, আঙুল কেটে আংটি বার করবে। তখন আমরা সবাই মিলে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দাদাকে গাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে দিই। ভাঙা গাড়িতেই কোনও রকমে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাই।’’ শমীকের পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে। তাঁকে এখনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। কিন্তু পায়ের এক্সরে করানো হয়েছে।

বিজেপির অভিযোগ, ফলতা থানা ঘটনার অভিযোগ নিতে চায়নি। থানায় যাওয়ার পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, যে সহদেবপুরে ঘটনা ঘটেছে, সেটা ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত। তাই ডায়মন্ড হারবারেই অভিযোগ জানাতে হবে। হামলায় যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যও পুলিশের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলে শমীকের সঙ্গীরা অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন: ‘ধাক্কা সহ্য করে নেব, রক্ষা করব দেশ’, যোগীর পুলিশকে বার্তা রাহুলের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement