ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে। ভগবানগোলার সুবর্ণগিরি ডাকবাংলো এলাকায় তাঁর গাড়ি ও দফতর ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। বিধায়কের মন্তব্যেও দলের অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ্বের আঁচ মিলেছে। ইদ্রিশের বাড়িতে হামলাকারীরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোস্তাফা শেখের অনুগামী বলে অভিযোগ।
সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল চারটের সময় অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে একটি সভা করার কথা ছিল বিধায়কের বাড়িতে। অন্য একটি সভাতে বিধায়ক ব্যস্ত থাকায় সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত শুরু হয়নি সভা। তার পরেই মোস্তফা শেখের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ ভেতর থেকে তালা বন্ধ করে শুরু হয় বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুর। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ ভগবানগোলার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপক হালদারের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় এক তৃণমূলকর্মী দাবি করেন, দলের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতির পদ দেওয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ইদ্রিশ। এমনকি, আশা কর্মী নিয়োগের জন্যও টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
ঘটনা প্রসঙ্গে ইদ্রিশ বলেন, ‘‘হঠাৎ করে হামলা চালিয়েছে। আমার বাড়ির গেট ভেঙেছে। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার আদিবাসীদের নিয়ে একটি কর্মসূচির জন্য চেয়ার ভাড়া করেছিলাম। সেগুলিও ভেঙেছে।’’ টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে ইদ্রিশের দাবি, যে নেতাকে পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১২ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাঁকে ফোন করলেই প্রমাণিত হবে অভিযোগ মিথ্যা।
তবে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন ইদ্রিশ। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অন্য দিকে, ইদ্রিশের বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোস্তাফা। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সাংসদ এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়া (পূর্ব) কেন্দ্রের বিধায়ক থাকাকালীনও ইদ্রিশের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূলের একাংশের সঙ্ঘাত বেধেছিল।