অনিল পাত্রের গাড়ি ভাঙচুর।
ভোট মিটেছে। নতুন সরকার তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবু রাজনৈতিক হিংসায় দাঁড়ি পড়ছে না। এ বার নারায়ণগড় ও সবংয়ে সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
রবিবার দুপুরে নারায়ণগড় বাজারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অনিল পাত্রের বাড়িতে হামলা চলে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় অনিলবাবুর গাড়ি। বাড়ি থেকে ইনভার্টার-সহ ব্যাটারিও লুঠ হয়েছে। এ ছাড়া তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে সিপিএমের নারায়ণগড় লোকাল কমিটির সম্পাদক সুসেন সাহুর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন হামলার সময় অনিলবাবু বাড়িতে ছিলেন না। ছিলেন তাঁর মেয়ে ও জামাই। অনিলবাবু বলেন, “বেলা ১২টা নাগাদ তৃণমূলের লোকেরা এসে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমি তখন বৈঠকে গিয়েছিলাম।” তার কিছুক্ষণ পরে অদূরেই সুসেন সাহুর বাড়িতে ভাঙচুর চলে। সিপিএমের নারায়ণগড় জোনাল সম্পাদক মদন বসু বলেন, “পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। পরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আসলে কর্মীদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন তৃণমূল নেতারা।” অবশ্য তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “ওই বিজয় মিছিলে কোনও নেতা ছিল না। একটি পাড়ায় মিছিল বেরিয়েছিল। সেখান থেকে অতি উৎসাহীরা ঢিল ছুড়েছে বলে শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি।”
শনিবার আবার সবংয়ে আক্রান্ত হয় সিপিএম। বিষ্ণুপুরের পূর্ববাঁধের নিরঞ্জন বর্মন, অনন্ত বর্মন ও লহরিচকের তপন বর্মনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এঁরা সকলেই সিপিএম কর্মী। সিপিএম সবং জোনাল সম্পাদক চন্দন গুছাইত বলেন, “তৃণমূল সর্বত্র সন্ত্রাস চালাচ্ছে।” যদিও তৃণমূলের জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির দাবি, “সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে।”