—ফাইল চিত্র।
এ বার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক কাজে ‘সক্রিয়’ করতে আবার চেষ্টা শাসক দলের তরফে। সূত্রের খবর, শনিবার বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভনকে স্পিকার ফোন করেন। শোভন মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে তাঁকে বিধানসভার প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও মৎস্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয় শাসক দল। তবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি ওই কমিটির বৈঠকে আসেননি। স্পিকার তাঁকে বৈঠকে আসার অনুরোধ জানাতে ফোন করেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে স্পিকার কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। শোভনকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি আগামী সপ্তাহে বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে শোভনকে রাজনীতিতে ‘সক্রিয়’ করতে তাঁর গোলপার্কের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কাজে ফিরতে বলে ফোন করেছিলেন পুরমন্ত্রী এবং কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। কিন্তু শাসক দলের তরফে একের পর এক উদ্যোগে এখনও তেমন ‘ইতিবাচক’ সাড়া শোভনের তরফে মেলেনি।
তবে দিন কয়েক আগে আর একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল শোভনেরই ফ্ল্যাটে তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনে। বৈশাখী সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন। পার্থবাবুর মদতে তাঁকে ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বৈশাখী। তবে যে কলেজে তিনি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা, সেখান থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে শুক্রবার তিনি দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করার পরে অবশ্য তাঁর সমস্যা আপাতত মিটে গিয়েছে বলে বৈশাখী দাবি করেছেন। এই সাক্ষাতের এক দিনের মধ্যেই শোভনকে স্পিকারের ফোন ইঙ্গিতপূর্ণ বলে রাজনৈতিক শিবিরের অভিমত।