(বাঁ দিক থেকে) উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
তিনি যখন বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন, তখনও রাজভবন-বিধানসভা সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। তবু রাজ্য-রাজ্যপাল সমস্যা মেটাতে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়েরই দ্বারস্থ হলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিমান ফোনে কথা বলেছেন ধনখড়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিমানকে বাংলার বিধায়কদের শপথগ্রহণের সমস্যা নিয়ে ফোনে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়।
ধনখড়ের সঙ্গে যে চলতি শপথ-সমস্যা নিয়ে তিনি কথা বলতে চান, তা বৃহস্পতিবারেই জানিয়েছিলেন বিমান। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কেও চিঠি দিয়েছিলেন বিমান। সেই চিঠিতে সবিস্তারে বলা ছিল, তৃণমূলের দুই বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের টানাপড়েনের কথা। বিমান জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ‘একবগ্গা’ মনোভাবের জন্য নির্বাচনে জিতেও দুই জয়ী প্রার্থী বিধায়ক হিসাবে নিজেদের কাজ শুরু করতে পারছেন না। ওই চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি বিমান জানিয়েছিলেন, তিনি উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের সঙ্গেও ওই বিষয়ে আলোচনা করতে চান। কারণ, ধনখড় একসময়ে বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন। তার পরেই শুক্রবার দু’জনের কথা হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারেও বিধানসভা চত্বরে দুই জয়ী প্রার্থীর ধর্না চালু আছে। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ না করানো পর্যন্ত ওই অবস্থান-ধর্না চলবে। ধর্নায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের অন্য বিধায়কেরা। যোগ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
ফোনে কী কথা হয়েছে ধনখড়-বিমানের? তৃণমূল সূত্রের খবর, ধনখড় ফোনে বিমানকে পরামর্শ দিয়েছেন, তিনিই যেন রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন বিধানসভায় এসে জয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ করাতে। নতুবা বিধানসভার কোনও ব্যক্তিকে এই শপথবাক্য পাঠ করানোর অধিকার দিতে। যদিও বিমানের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে সেই অনুরোধ করা হয়েছে বলে বিধানসভার একটি সূত্রের দাবি। রাজ্যপাল আপাতত দিল্লিতে আছেন। তিনি ফিরলে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে তৃণমূল। তাকিয়ে বিধানসভার স্পিকারও।