অশোক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
বুকের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়েছে। তাই ‘বিপ্যাপ’ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে শিলিগুড়ির বিধায়ক ও পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যকে। নার্সিংহোম সূত্রে এই কথা জানানো হয়েছে। সপ্তাহখানেকের বেশি জ্বর, বুকে সংক্রমণ এবং প্রস্রাবে সংক্রমণ নিয়ে ১৬ জুন তাঁকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরদিন তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পরে। এই কথা জেনেই অশোকের চিকিৎসায় সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গড়ে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এ দিন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে শিলিগুড়ির পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্তেরও। তিনিও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। রবিবার তাঁর নমুনা রিপোর্টে করোনা সংক্রমণ ধরা পরে। মাস কয়েক আগে কলকাতা থেকে চিকিৎসা করিয়ে তিনি ফিরেছিলেন।
নার্সিংহোমের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ দিনে অশোকের শারীরিক পরিস্থিতির সে ভাবে উন্নতি হয়নি। তবে স্থিতিশীল। বুকে সংক্রমণের জেরে তাঁকে বেশি মাত্রায় অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, এ দিন ফোনে স্ত্রী রত্নাদেবীর সঙ্গে কথা বলেছেন অশোক ভট্টাচার্য।
এ দিন শিলিগুড়ি শহরে নতুন করে আরও ২৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিয়াপাড়া এলাকার ৪ জন রয়েছেন। ৯ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন করে আক্রান্ত। ৭ জন মাটিগাড়ার, একজন নকশালবাড়ির বাসিন্দার সংক্রমণের রিপোর্ট মিলেছে। শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭০ জন। দার্জিলিং জেলায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৩১১ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে শিলিগুড়ির দু’জন সাংবাদিক রয়েছেন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি দু’জন প্রসূতির সংক্রমণ মিলেছে। মহিলা বিভাগে জ্বর নিয়ে ভর্তি একজনের সংক্রমণ মিলেছে। দু’জন আয়া আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের হিলকার্ট রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখার অন্তত ২ জন অস্থায়ী কর্মী নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।