TMC

Asansol municipality: ভোট হল, ফল বেরোল, মেয়রও বাছা হল, কিন্তু কেন আসানসোলে তিন মাসেও বোর্ড হল না

আসানসোলে মেয়র শপথ নিলেও এখনও তৈরি করা যায়নি পুরবোর্ড। এর ফলে আসানসোলবাসী পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২২ ১৫:৪৬
Share:

ফাইল ছবি।

ভোট শেষে মেয়র পদে শপথগ্রহণের পরেও কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস। কিন্তু এখনও আসানসোল পুরনিগমের বোর্ড গঠন হয়নি। কবে হবে সেই উত্তরও মিলছে না। এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। পাল্টা রাজ্যপালের কোর্টে বল ঠেলেছে শাসক তৃণমূল। বোর্ড গঠন না হলে পুর-কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আসানসোলের মহানাগরিক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বিধান উপাধ্যায়। একই দিনে চেয়ারম্যান পদে শপথ নেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তার পর কেটে গিয়েছে তিন মাস সময়। হয়নি বোর্ড গঠনও। এর ফলে ঠিকমতো পুর পরিষেবা দিতে পারছে না পুরনিগম, এমনটাই অভিযোগ বিজেপি-সহ বিরোধীদের। এ ব্যাপারে ফয়সালা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। তিনি আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী। আগামী ৯ জুন ওই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে।

Advertisement

তবে বোর্ড গঠন না হওয়ার দায় সরাসরি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কোর্টে ঠেলেছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক বলেন, ‘‘আসানসোল পুরনিগমের বোর্ড কবে গঠন হবে তা রাজ্যপালকে জিজ্ঞেস করুন! কারণ, আসানসোল পুরনিগমে দু’জনকে ডেপুটি মেয়র করা হবে বলে যে ফাইল গিয়েছে রাজ্যপালের কাছে, তা তাঁর টেবিলেই পড়ে রয়েছে। রাজ্যপাল সই করলেই পুরনিগমে বোর্ড গঠন হবে।’’

রাজ্যপালের টেবিলে ফাইল আটকে আছে, মলয়ের এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। চৈতালির দাবি, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে আসানসোলে বোর্ড গঠন করতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তার ফল ভুগছেন আসানসোলবাসী।’’

Advertisement

তবে চৈতালির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়াতে এই সব না বলে, নিজের ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করুন চৈতালি। পুরনিগম তা হলেই আরও ভাল ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে।’’

বিরোধীদের তোলা অভিযোগ মানছেন না ঘোষিত ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হকও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত কাজই একসঙ্গে মিলেমিশে করছি। ইতিমধ্যে গাড়ুই নদীর সংস্কার শুরু হয়েছে। পানীয় জলের সমাধানও করা হয়েছে। নাগরিক পরিষবা পৌঁছে দেওয়ায় কোনও ঘাটতি নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement