—নিজস্ব চিত্র।
শিকে ছিঁড়ল আসানসোল রেল স্টেশনের ভাগ্যে! একে বিশ্বমানের স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলার অনুমোদন দিল ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড। রাজ্যের একমাত্র রেল স্টেশন হিসাবে পূর্ব রেলের আসানসোলকেই বেছে নিয়েছেন রেল-কর্তারা। তাঁদের আশা, আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে স্টেশনের ভোলবদলের কাজ শুরু হবে।
আসানসোল রেল ডিভিশনের ডিআরএম প্রেমানন্দ শর্মা জানিয়েছেন, এই স্টেশনকে বিশ্বমানের নিরিখে গড়ে তোলার জন্য ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত নির্দেশ এসেছে। সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে পূর্ব রেলকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। এই স্টেশনের ভোলবদল ঘটাতে প্রাথমিক ভাবে ব্যয় হবে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। প্রেমানন্দ বলেন, ‘‘দেশে প্রায় ২৫০টি স্টেশনকে বিশ্বমানের নিরিখে গড়়ে তোলা হবে। তবে পূর্ব রেল বিভাগের মধ্যে একমাত্র আসানসোলকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।’’
কিন্তু আসানসোলকেই কেন বেছে নেওয়া হল? রেল সূত্রে খবর, পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদহ এবং আসানসোল— এই চার ডিভিশনের মধ্যে হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে বেশি যাত্রী ওঠানামা করেন। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনে আসানসোল স্টেশনে্র যাত্রীসংখ্যা ওই দুই স্টেশন থেকে কিছু কম নয়। তাই এই স্টেশনকে বেছে নিয়েছে বোর্ড।
আসানসোলকে কী ভাবে বিশ্বমানের স্টেশনে পরিণত করা যায়, সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সোমবারই এই রেল ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মুকেশকুমার মিনার নেতৃত্বে পাঁচ জন রেল অধিকারিক ভোপালের হাবিবগঞ্জ রেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের ওই রেল স্টেশনটিও বিশ্বমানের। প্রেমানন্দ বলেন, ‘‘আসানসোল স্টেশনে কী কী কাজ হবে, তা নিয়ে একটি সবিস্তার নীল নকশা তৈরি করবেন হাবিবপুরে যাওয়া ওই আধিকারিকেরা। এর পর তা কলকাতায় রেলের সদর দফতরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর কাজ শুরু হবে।’’
প্রসঙ্গত, ১৮৮৫ সালে আসানসোল রেল স্টেশনটি তৈরি হয়েছিল। প্রেমানন্দ বলেন, ‘‘হেরিটেজ স্টেশন হওয়ায় পুরনো ভবনকে বাঁচিয়ে বাকি সব ভেঙে নতুন নকশায় আসানসোল রেল স্টেশন সেজে উঠবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় আসানসোল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ঢোকা এবং বেরোনোর আলাদা পথ থাকবে। প্ল্যাটফর্মের উপরে ওভারব্রিজের পাশে যাত্রীদের অপেক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে। যাত্রীসুরক্ষায় স্টেশনে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকবে।’’