TET Recruitment

দশে ১০.৯! যত বিভ্রাট টেটেই, নম্বর ভাগাভাগি নিয়েও বিতর্কে পর্ষদ

অনেক বিতর্কের পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর ভাগাভাগি কী ভাবে হয়েছে, সেটা যদিও বা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও বেধেছে বিতর্ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২২ ০৬:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পূর্ণ মান ১০। অনেক চাকরিপ্রার্থীই দশে দশ পেয়েছেন। যুক্তির খাতিরে সেটা অসম্ভব না-হলেও বাস্তবে তা বিস্ময়কর। তবু অঙ্কের নিয়মে সেটা ঘটে থাকতে পারে, কিন্তু পূর্ণ মান যেখানে ১০, সেখানে কারও প্রাপ্ত নম্বর ১০.৯৬০ হয় কী ভাবে? এই অসম্ভব ব্যাপারটাই ঘটেছে ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট দেওয়া প্রার্থীদের নম্বর ভাগের তালিকায়।

Advertisement

অনেক বিতর্কের পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর ভাগাভাগি কী ভাবে হয়েছে, সেটা যদিও বা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও বেধেছে বিতর্ক। রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ওই টেটের নম্বরের ক্ষেত্রে কিছু ‘ভুল’ হয়েছে। ১১ ডিসেম্বরের (নতুন টেটের দিন) তা শুধরে নেওয়া হবে।

তবে বিতর্ক থামছে না। মঙ্গলবার পর্ষদের প্রকাশ করা তালিকায় দেখা যায়, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, টেট ও প্রাথমিক প্রশিক্ষণের নম্বর মিলিয়ে যা দাঁড়ায়, এক জন চাকরিপ্রার্থী পেয়ে গিয়েছেন তার চেয়েও বেশি! পর্ষদ জানিয়েছে, নম্বর বিভাজনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মোট ১০ নম্বর ধরা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন দশের মধ্যে দশই পেয়েছেন। যার অর্থ, তাঁরা উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০০-র মধ্যে ৫০০-ই পেয়েছিলেন! তালিকায় কেউ কেউ আবার দশের থেকে বেশি পেয়েছেন। এটা যে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়, তা মেনে নিচ্ছে পর্ষদও। তালিকায় এমন প্রার্থীও আছেন, যিনি ১০-এর মধ্যে ১০.৯৬০ পেয়েছেন। অর্থাৎ ১০০ শতাংশেরও বেশি!

Advertisement

কেন এই ভুল বা বিভ্রাট? ঠিক কত চাকরিপ্রার্থীর ক্ষেত্রে এমন হয়েছে?

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এমনটা হওয়ার কথা নয়। কী ভাবে এটা হল, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।’’

ভুলটা ২০১৪ সালের টেট বা প্রাথমিকে শিক্ষকপদে যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষায় বসা কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেই বার বার হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে জোরালো ভাবে। অচিন্ত্য সামন্ত নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘এর আগেও বিভিন্ন সময়ে সংশোধনী বার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওরা কিছুই এক বারে ঠিক করে বার করতে পারে না! শেষ পর্যন্ত নম্বর বিভাজনের তালিকা যদিও বা প্রকাশ করা হল, তার অনেক জায়গাতেই স্বচ্ছতার অভাব প্রকট।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement