—প্রতীকী চিত্র।
এ দেশে এসে শুধু গোপন ঘাঁটি তৈরি নয়, গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে প্রযুক্তিরও আশ্রয় নিয়েছিল জামাতুল মুজাহিদিন বা জেএমবি-র ধৃত জঙ্গিরা। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, হরিদেবপুরে ধৃত অন্যতম জেএমবি জঙ্গি রবিউল ইসলাম গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে বাংলাদেশে যোগাযোগ করার জন্য ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক’ (ভিপিএন) ব্যবহার করত। বাংলাদেশের একটি ‘ইন্টারনেট প্রোটোকল’ (আইপি) অ্যাড্রেসের মাধ্যমে ওই ভিপিএন ব্যবহার করায় রবিউলের ফোনের যোগাযোগ নজরে আসত না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধৃতদের প্রাথমিক ভাবে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মূলত বাংলাদেশে জেএমবি-র চাঁইদের সঙ্গেই ভিপিএনের মাধ্যমে যোগাযোগ করত রবিউল। এ ব্যাপারে খুঁটিনাটি জানতে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতে পারে পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে।
কলকাতার হরিদেবপুর এলাকা থেকে রবিউল-সহ তিন জেএমবি জঙ্গিকে পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই জঙ্গিরা ভিপিএন ছাড়াও ‘ডার্ক ওয়েব’ ব্যবহারে দক্ষ। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে সাধারণ ইন্টারনেটে তা আসে না এবং পরিচয় আড়ালে রেখেই ইন্টারনেটের এই জগতে যোগাযোগ রাখা সম্ভব। ধৃত নাজিউর রহমান ‘টর ব্রাউজ়ার’ ব্যবহার করত বলেও গোয়েন্দা সূত্রের দাবি।
সাবির নামে ধৃত এক জঙ্গিকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাঁচ বছর আগে সে এ-পারে এসে বেহালায় ঘাঁটি গাড়ে। এ দেশে ঢুকতে তাকে সাহায্য করেছিল সেলিম মুন্সি নামে অন্য এক বাংলাদেশি। এ দেশের নাগরিকত্বের ভুয়ো নথিও তৈরি করেছে সে। তবে সেলিম বর্তমানে ফেরার। পুলিশের সন্দেহ, তিন জন ধরা পড়তেই সেলিম কোনও ভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। সে ১৪ বছর ধরে এ দেশে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
পুলিশ জানায়, বেহালার ঈশ্বর গুপ্ত লেনের একটি বাড়িতে প্রথম থেকে ভাড়া ছিল সাবির। গত মাসে প্রবল বৃষ্টিতে সেই বাড়িতে জল জমে যায়। ১ জুলাই ওই পাড়ায় নতুন বাড়ি ভাড়া নেয় সে। দিন পনেরো আগে ভারতে ঢুকে নাজিউর সেখানেই উঠেছিল। সাবিরই মূলত নাজিউরের বিভিন্ন কাজকর্ম দেখাশোনা করত বলে গোয়েন্দা অফিসারদের দাবি।