ধৃত: গ্রেফতারের পরে তিন ব্যাঙ্ককর্তা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
ভুয়ো সংস্থা খুলে জালিয়াতি এবং সরকারি টাকা তছরুপের অভিযোগে সিআইডি-র হাতে গ্রেফতার হলেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তিন ম্যানেজার। অভিযোগ, ওই তিন ব্যাঙ্ককর্তার যোগসাজশ ও প্রতারণার ফলে জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের ১৭৩ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
একই অভিযোগে মাস সাতেক আগে গ্রেফতার হন জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের চার কর্তা এবং ভুয়ো সংস্থার দুই মালিক। তিন ব্যাঙ্ককর্তাকে নিয়ে ওই প্রতারণার ঘটনায় মোট ন’জনকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন ব্যাঙ্ককর্তাকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। তিন ব্যাঙ্ককর্তা হলেন কেদারনাথ পুষ্টি, মানিকমোহন মিশ্র ও প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রদীপবাবু অবসর নিয়েছেন। বাকি দু’জনকে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কেদারবাবু ও প্রদীপবাবু ওই ব্যাঙ্কের যাদবপুর শাখার ম্যানেজার ছিলেন। আর মানিকবাবু ছিলেন ব্যাঙ্কের হাজরা রোড শাখার ম্যানেজার।
ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণ দেয় জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগম। ওই তিন ব্যাঙ্ককর্তা ক্ষমতা অপব্যবহার করে ভুয়ো গ্যারান্টার দেখিয়ে ১৭৩ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ সিআইডি-র। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জাল নথি দেখিয়ে ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। তদন্তকারীদের জানাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় নথিপত্র না-দেখেই ঋণ দেওয়া হয়েছিল। ওই ব্যাঙ্কের যাদবপুর ও হাজরা শাখার ম্যানেজারেরা ভুয়ো গ্যারান্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, প্রচুর ঋণ আদায়ের জন্য ৬৩টি ভুয়ো সংস্থা খোলে জালিয়াতেরা।