ফাইল চিত্র।
বিজেপি ছেড়ে আসা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নেতা অর্জুন সিংহকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা ‘দেখতে’ বলল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দলের বৈঠকে উপস্থিত অর্জুনকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
তিন বছর বিজেপিতে কাটিয়ে ফিরে আসায় অর্জুনকে নিয়ে যাতে কোনও দ্বিধা না থাকে সোমবার থেকে সেই চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন দলের জেলা নেতারা। আগামী ৩০ মে অর্জুনের লোকসভা কেন্দ্র ব্যারাকপুরের টিটাগড়ে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার প্রস্তুতি বৈঠকে এ দিন এখানকার সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। অর্জুনের সঙ্গে বিজেপি থেকে আর কারা তৃণমূলে আসতে পারেন, তা নিয়ে চর্চা ছিলই। এ দিন ব্যারাকপুরের দলীয় সভাপতি পার্থ ভৌমিক সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘কারা দলে আসতে চান, তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
দলে ফিরে আসার পরে অর্জুনের সঙ্গে দলের নেতাদের ‘বোঝাপড়া’ তৈরি করতে শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শেই এ দিন এই বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে ছিলেন সৌগত রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রথীন ঘোষ, সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়, মদন মিত্রের মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার নেতারা।
ভাটপাড়ায় অর্জুনের বাড়ি ‘মজদুর ভবনে’র সামনে থেকে আগেই গেরুয়া পতাকা, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ছবি, ব্যানার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্জুনের বক্তব্য, ‘‘বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। গত বিধানসভা ভোটে সরকার গঠন করবে বলে প্রচার করেছিল। কিন্তু, দিল্লির নেতারা জানতেন, বাংলায় তাঁরা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সংগঠনের অভাবেই ওরা ধরাশায়ী হবে।’’ সংগঠন নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘যাঁরা কোনও দিন বুথে বসেননি, তাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন। আমি মাঠে থাকা লোক। বিজেপির সংগঠন খুবই দুর্বল। আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যের তৃণমূল ৪২টি আসনই পাবে।’’
রাজ্য বিজেপি সম্পর্কে অর্জুনের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে বিজেপি নেতারা আমাকে সন্দেহের চোখে দেখতেন। এ ভাবে রাজনীতি করা যায় না। তাই, ফের তৃণমূলে ফিরলাম।’’