ইস্তফায় কি মিরিক কাউন্সিলরেরা

পাহাড়ের দলগুলির ফতোয়া মেনে উন্নয়ন বোর্ডগুলির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানেরাও সম্ভবত ইস্তফা দিয়ে দেবেন। এত দিন মোর্চা তাঁদের বিরোধিতা করছিল। মঙ্গলবারের বৈঠকে জিএনএলএফ এবং জাপ-ও বোর্ডগুলির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ আনে। তার পরেই ফতোয়া দেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

মিরিক পুরসভা। ছবি: সংগৃহীত।

ইস্তফা দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে উন্নয়ন বোর্ডগুলির প্রধানদের। পাহাড়ের পুরসভাগুলির জন্য এখনও কোনও ফতোয়া জারি হয়নি। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে ইস্তফার পথে হাঁটার কথা ভাবছেন মিরিক পুরসভার ছয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কেউ কেউ। যদিও এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না তাঁরা। কিন্তু তৃণমূল মহলে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, এই আলোচনার পিছনে একাধিক কারণও রয়েছে। মঙ্গলবার যখন পাহাড়ে সর্বদল বৈঠক হচ্ছে, তখন শিলিগুড়িতে মিরিক পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক চলছিল। সেখানেই কাউন্সিলরদের একাংশ বুঝিয়ে দেন, তাঁরা পদত্যাগের কথা ভাবতে শুরু করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁদের সমতলে থাকতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু কয়েক জন তখনই মিরিকে ফিরে যান। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা এল বি রাই। তিনিও ফিরে গিয়েছেন মিরিকে।

মঙ্গলবার মোর্চার সর্বদল বৈঠক মিরিকেই বসেছিল। সেখানে মোর্চা সমর্থকেরা মিছিলও করেছেন। তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, মিরিকে জয়ের পর থেকেই তাদের কাউন্সিলররা হুমকি আর চাপের মধ্যে ছিলেন। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে তাঁদের বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। তাই মিরিকে মোর্চার শক্তি প্রদর্শনের পরে কাউন্সিলরদের একাংশ ইস্তফার কথাই ভাবছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিনেদুপুরে গুলি, খুন

পাহাড়ের দলগুলির ফতোয়া মেনে উন্নয়ন বোর্ডগুলির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানেরাও সম্ভবত ইস্তফা দিয়ে দেবেন। এত দিন মোর্চা তাঁদের বিরোধিতা করছিল। মঙ্গলবারের বৈঠকে জিএনএলএফ এবং জাপ-ও বোর্ডগুলির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ আনে। তার পরেই ফতোয়া দেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ।

এর মধ্যে প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়ে মোর্চার হাঙ্গামা সমতলেও পৌঁছেছে। বুধবার রাতে সুকনার রেভেনিউ ইনস্পেক্টরের অফিসে আগুন লাগানো হয়। এর পরেই সুকনায় মোর্চা কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসে। তারা দার্জিলিং মোড়ের কাছে পথ অবরোধও করে। যদিও মোর্চা নেতা চিরিং দহল জানান, এই ঘটনায় মোর্চা জড়িত নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement