গ্রাফিক্স-তিয়াশা দাস।
প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মৃতের নাম লক্ষ্মী প্রামাণিক (৩৬)। হুগলির আরামবাগের ওই ঘটনায় লক্ষ্মীর স্ত্রী ময়না প্রামাণিক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে ডহরকুণ্ড এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীর সঙ্গে পাশের গ্রাম গৌরবাটির ময়নার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের আগে থেকেই ময়নার সঙ্গে যাদববাটি এলাকার ঝন্টুর সম্পর্ক ছিল। দিন কুড়ি আগে ঝন্টুর সঙ্গে ময়না পালিয়ে যায় বলে গ্রামবাসীদের দাবি। দিন চারেক আগে ময়না বাড়িতে ফিরে আসে। এর পর সোমবার সকালে ঘরের ভিতর পুড়ে যাওয়া লক্ষ্মীর দেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার রাতে লক্ষ্মীকে মদ খাওয়ানো হয়। তার পর তাঁর হাত-পা বাঁধা হয়। মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় গামছা। যাতে চিৎকার করলেও সে আওয়াজ কোনও ভাবেই বাইরে না যায়। তার পর তাঁর শরীরে দাহ্যপদার্থ ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে পোড়ানোর আগে লক্ষ্মীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছিল, নাকি পুড়িয়েই মেরে ফেলা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জানা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘হাঁপানি রোগী’ প্রিয়ঙ্কার সিগারেট খাওয়ার ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
আরও পড়ুন: ‘মোটা মহিলারা স্বর্গে যেতে পারবেন না’
এই ঘটনায় আটক করা হয় ময়না এবং ঝন্টুকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শীতল প্রামাণিক-সহ দু’জনকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় ময়না এবং ঝন্টুকে গ্রেফতার করেছে আরামবাগ থানার পুলিশ। তবে ঘটনার সময় লক্ষ্মী-ময়নার সন্তানরা কোথায় ছিল, তা জানা যায়নি।