বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে করোনা গ্রাফ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। ফের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রবিবার বিকেলে সরকারি নির্দেশ জারি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুল বন্ধ প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘এতে শিক্ষা-ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে।’’ অনুব্রতের এই উক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এ দিন।
এ দিন বোলপুরের তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সামনে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতেই বলতে শুরু করেন অনুব্রত। কেন স্কুল বন্ধ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্যকে বাঁচাতে গেলে এটি করতেই হত। কিছু করার নেই, বাচ্চা ছেলেদের কোভিড হয়ে গেলে আরও মুশকিল হবে। তবে এতে শিক্ষা ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে। বাড়িতে বসে পড়াশোনা হয় না। স্কুলে যে জিনিসটা হয় সেটা কি আর বাড়িতে বসে হয়।” কোভিডের আগে থেকেই রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে অনুব্রতের যুক্তিতে পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের শিক্ষার এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী তৃণমূলই। শিক্ষা ব্যবস্থা ডকে তুলে স্কুল-কলেজগুলোকে দলের কার্যালয় করা হয়েছিল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সত্যি কথাটা বলে ফেলেছেন এই সময়ে।’’ অবশ্য জেলার তৃণমূল নেতাদের একাংশের বক্তব্য, জেলা সভাপতি অনলাইন আর অফলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার পার্থক্য বোঝাতেই ওই মন্তব্য করেছেন। গ্রামের সরকারি স্কুলগুলি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় স্কুলছুটের সংখ্যা বেড়েছিল। মাঝে স্কুল খোলাতে শিক্ষক ও প্রশাসনের উদ্যোগে সেটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছিল। সেই প্রক্রিয়াও ব্যাহত হবে আবার স্কুল বন্ধ হওয়ায়।