—প্রতীকী ছবি।
আদালত চত্বর থেকে গুলি ছুড়ে বছর খানেক আগে পালিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। এ বার জেল পালাল পকসো মামলার এক অভিযুক্ত। ঘটনাস্থল কাঁথি। রাজ্যের কারা দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা কাঁথি মহকুমা উপ সংশোধনাগারের ওই বন্দি পালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। ঘটনায় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
শনিবার ছিল কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা। পুজোর আবহে এ দিন দুুপুরে হঠাৎ বেজে ওঠে সংশোধনাগারের সাইরেন। জানা যায়, শুভেন্দু ঘটক নামে বছর তেইশের এক বন্দিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরের খাওয়াদাওয়ার সময় কর্মীরা শুভেন্দুর গরহাজিরার বিষয়টি খেয়াল করেন।
২০১৮ সালে অক্টোবরে কাঁথি মহকুমা আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ এবং মুন্না। তারও কয়েক বছর আগে কাঁথি মহকুমা উপ সংশোধনাগারের পুরানো ভবন থেকে এক আসামী পালিয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় মহকুমা উপ-সংশোধনাগার সম্পূর্ণ খোলনলচে বদলানো হয়েছে। মূল রাস্তা থেকে কারাগারের ভেতর পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। রয়েছে দোতলা ঘরের সমান উঁচু প্রাচীর। এর পরেও পটাশপুর থানা এলাকার বাসিন্দা শুভেন্দু কী করে পালাল, সে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এটেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
ওই ঘটনার পর কাঁথি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে পলাতক শুভেন্দুর খোঁজে জেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ‘‘কাঁথি মহকুমা উপ-সংশোধনাগার থেকে এক বন্দি পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’
এই ঘটনার পর ফের সংশোধনাগারের ভেতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সব মহলে। এ দিনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে। পুরো ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের কারা দফতর। রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি বলছেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।’’