বালিজুড়িতে সনাতন সিংহের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে অমিত শাহ। নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুরে দুই মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর শনিবার বালিজুড়িতে কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বৈজয়বর্গীয়-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। এ দিন দুপুরে বালিজুড়ির বাসিন্দা সনাতন সিংহের বাড়িতে পৌঁছন অমিত। মেনুতে রয়েছে সুক্তো, ভাজা, ডাল, ভাত এবং রুটি।
শনিবার মেদিনীপুরে পা দিয়েই হবিবপুরে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মাসির বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ক্ষুদিরামের মূর্তিতে জানান শ্রদ্ধা। কথা বললেন তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গেও। শনিবার দমদম বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কপ্টারে মেদিনীপুর পৌঁছন অমিত। সেখানকার কলেজ ময়দানে জনসভা করার কথা তাঁর।
শনিবার বেলা ১২ টার কিছু পরে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া আবাসের স্থায়ী হেলিপ্যাডে নামে অমিতের কপ্টার। সেখান থেকে তিনি পৌঁছন হবিবপুরে ক্ষুদিরামের মাসির বাড়িতে। ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করে তিনি। ক্ষুদিরামের মূল বাড়ি কেশপুর ব্লকের মোহবনী গ্রামে। সেখান থেকে মেদিনীপুরে পৌঁছেছিলেন ওই বিপ্লবীর আত্মীয়রা। তাঁরা ক্ষুদিরামের জন্মভিটার উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পাশাপাশি এ-ও অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাঁদের কথা শোনেন অমিত। ক্ষুদিরামের নিকট আত্মীয়দের উত্তরীয় পরান তিনি।
ক্ষুদিরামের মাসির বাড়িতে মিনিট তিনেক ছিলেন অমিত। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্ষুদিরামকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ক্ষুদিরাম যেমন বাংলার, তেমন ভারতেরও। তিনি গীতা হাতে নিয়ে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন।’’ এর পর সেখান থেকে রওনা দেন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে। ক্ষুদিরামের জন্মভিটের উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘মোহবনী গ্রামের উন্নয়নের জন্য মডেল ভিলেজে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। শহিদ বেদী, মিউজিয়াম, লাইব্রেরির উন্নয়ন করা হচ্ছে।’’
মেদিনীপুরে অমিত শাহ। নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুরের একাধিক মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে অমিতের। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অর্জুন সিংহ, ভারতী ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রথমেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৌঁছন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর যান কর্ণগড় মন্দিরে।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে বাড়ি ফিরে রাতভর ঘুঁটি সাজালেন শুভেন্দু অধিকারী
আরও পড়ুন: চারটি ব্যর্থ ফোন এবং জিতেন্দ্রর ক্ষমাসুন্দর ‘ঘর ওয়াপসি’
অমিতের কর্মসূচি ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেরা হয়েছে মেদিনীপুর শহর। সভাস্থল তো বটেই, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, কর্ণগড় মন্দির, বালিজুড়ি গ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা।