পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করলেন অমিত শাহ।—নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার জনসভায় কারও নাম না করে ‘রাজপুত্র’ এবং ‘ভূমিপুত্র’-এর প্রসঙ্গ তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শহিদ মিনার ময়দানে রবিবার শাহ পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে বলেন, ‘‘রাজপুত্রকে উত্তরাধিকারী করার ভাবনা বাংলার মাটিতে চলবে না। বাংলার কোনও ভূমিপুত্র, এখানকার মাটি থেকে উঠে আসা কোনও নেতাই হবেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।’’ উপস্থিত শ্রোতাদের প্রশ্ন করেন শাহ, ‘‘আপনারা কি শাহজাদাকে উত্তরাধিকারী বানানোর বিরোধী?’’ সমস্বরে ইতিবাচক জবাব শোনা যায়। তখন শাহ বলেন, ‘‘তা হলে আমার সঙ্গে বলুন, আর নয় পরিবারবাদ।’’ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে শাহের কটাক্ষ, ‘‘ভাইপো থেকে পঞ্চায়েত প্রধান— সর্বত্র দুর্নীতি। এর পরিবর্তন করতে আপনাদের সমর্থন চাই।’’
শাহ কারও নাম না করলেও তাঁর মন্তব্যের ইঙ্গিত কার দিকে, তা নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে চর্চা চলছে। তৃণমূল অবশ্য এ দিন এ নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। শাসক দলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘এ ধরনের কথাকে গ্রাহ্য করারই কোনও মানে হয় না।’’ শাহজাদা-মন্তব্য অবশ্য শাহর দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘উনি রাজপুত্রের কথা বলার আগে নিজের পুত্রের কথা বলুন। অমিত শাহ বিজেপি সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর পুত্রের সম্পত্তি এত গুণ কী ভাবে বাড়ল, সে ব্যাখ্যাটা আগে শুনব।’’ পাশাপাশিই তিনি বলেন, ‘‘ভূমিপুত্রর কথা বলে অসমে ওঁরা কী করেছেন, দেখা গিয়েছে। এখানে কী করতে চান, কে জানে। বাংলার মানুষকে দ্বিগুণ সতর্ক থাকতে হবে।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেসের গলাতেও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘‘দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ নিয়ে বিজেপি নেতারা তাঁদের ঘরের কথা আগে বলুন। পরে বাংলার কথা হবে।’’