Illegal Dumping Pond

রাজারহাটে পুকুর ভরাট নিয়ে প্রশাসনকে তোপ শাসকদলের বিধায়কের

রাজারহাট ব্লক প্রশাসন দাবি করেছিল, একটি নির্মাণ সংস্থা জমিটি কিনে জলাশয় ভরাট করছে। বদলে পাশের মৌজায় একটি পুকুর তারা কেটে দিচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৯
Share:
তাপস চট্টোপাধ্যায়।

তাপস চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

যতটা প্রয়োজন, ততটা মাপের বিকল্প পুকুর কাটা হয়নি।

অথচ, প্রশাসনের অনুমতিকে সামনে রেখেই রাজারহাটের রেকজোয়ানি এলাকায় একটি জলাশয় ভরাটের চেষ্টা বার বার করে হচ্ছে বলে স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করছেন। দিনকয়েক আগেই এক রাতে রেকজোয়ানি এলাকায় ওই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তার পরে রাজারহাট ব্লক প্রশাসন দাবি করেছিল, একটি নির্মাণ সংস্থা জমিটি কিনে জলাশয় ভরাট করছে। বদলে পাশের মৌজায় একটি পুকুর তারা কেটে দিচ্ছে।

ইতিমধ্যে গত শনিবার রাতে ফের রেকজোয়ানির ওই পুকুরে মাটি ফেলার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় মানুষ পথে নামেন। প্রবল বিক্ষোভের সামনে পড়ে ওই পুকুরে মাটি ফেলার জেসিবি ফেলে রেখেই চলে যান নির্মাণ সংস্থার লোকজন। পরে স্থানীয় নিউ টাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় নিজেই অভিযোগ করেন যে, জমির চরিত্র ঠিক মতো বদল হয়নি। যতটা পুকুর কাটার কথা, ততটা না কেটেই পুরনো পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, সম পরিমাণ পুকুর না কেটে কিছুতেই পুরনো পুকুরটি ভরাট করা যাবে না। জমির চরিত্র সম্পূর্ণ বদল করেই যেন পুকুর কাটতে দেওয়া হয়। নির্দেশ উপেক্ষা করলে প্রোমোটারকে গ্রেফতার করার কথাও বলেছি।’’

বিধায়কের এমন বক্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, রাজারহাট ব্লক প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কী ভাবে জমির চরিত্র সম্পূর্ণ বদল না করে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সংশ্লিষ্ট মহলে। যদিও রাজারহাটের বিডিও গোলাম গৌসল আজমের দাবি, নির্মাণ সংস্থার সব ধরনের অনুমতি রয়েছে। বিকল্প পুকুরটি যে জায়গায় খনন করা হয়েছে, সেই জমির চরিত্র এখনও সম্পূর্ণ বদল হয়নি। যে কারণে এই ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। বিডিও-র কথায়, ‘‘যে বিকল্প পুকুরটি কাটা হয়েছে, সেটির জমির একটি অংশের চরিত্র বদলের অনুমতি এখনও ওই সংস্থার হাতে আসেনি। তাই তাদের বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ কাগজপত্র হাতে নিয়ে কাজ শুরু করতে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ আইন মোতাবেক সবটা করেছে। হতে পারে বিধায়কের কাছে তথ্য ঠিক মতো পেশ করা হয়নি।’’

স্থানীয় বাসিন্দা নরোত্তম দত্তরায়ের অভিযোগ, ‘‘এক মৌজায় পুকুর ভরাট করে অন্য মৌজায় বিকল্প পুকুর কাটা হচ্ছে, এটা হতে পারে না। আমরা নাগরিক কনভেনশন ডেকে এর বিরোধিতা করব। একটি পুকুরের উপরে একটি এলাকার পরিবেশ নির্ভরশীল। এই এলাকার সঙ্গে ঐতিহ্যের সম্পর্ক রয়েছে। রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট হতে দেব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন