নেতার মদতেই ছেলেকে মারের অভিযোগ

এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ উঠল বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। মোবাইল চোর সন্দেহে ওই ছেলেটিকে পুলিশ তুলে এনেছিল। যদিও তার বাবার দাবি, এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের কথায় তাঁর ছেলের নামে অপবাদ দিচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৩৭
Share:

এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ উঠল বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। মোবাইল চোর সন্দেহে ওই ছেলেটিকে পুলিশ তুলে এনেছিল। যদিও তার বাবার দাবি, এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের কথায় তাঁর ছেলের নামে অপবাদ দিচ্ছে পুলিশ। পূর্বস্থলী থানার আইসি এবং প্রাক্তন বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় দু’জনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

মহকুমাশাসককে (কালনা) লেখা অভিযোগপত্রে ওই কিশোরের বাবা, পেশায় চাষি মোরশেদ শাহজী দাবি করেছেন, সোমবার যজ্ঞেশ্বরপুর গ্রামে তাঁদের বাড়িতে আসেন তপনবাবু। বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী আসলিমা বিবি এবং নাবালক পুত্র এরশাদ। প্রাক্তন বিধায়ক তাঁদের মিছিলে যাওয়া এবং রক্তদান শিবিরে চাঁদা দেওয়ার কথা বলেন। এরশাদ জানায়, তারা গরিব। তা ছাড়া এলাকায় উন্নয়ন হয়নি বলে চাঁদা দেওয়া যাবে না। মোরশেদের অভিযোগ, এতে রেগে তপনবাবু তাঁর ছেলেকে হুমকি দিয়ে যান। এর পরেই মোবাইল চুরির মামলায় ছেলেকে ফাঁসানো হয় বলে তাঁর অভিযোগ। এ দিন মোরশেদ বলেন, ‘‘বিধায়কের কথাতেই পুলিশ সোমবার রাতে ছেলেকে বাড়ি থেকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় মারধর করেছে। আমি থানায় গেলে আমার সামনেও পেটানো হয়। রাতে ছেলের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ খুললে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়।’’ এ দিন দুপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এরশাদকে বাবা মায়ের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। সে বলে, ‘‘আমি মোবাইল চুরি করিনি। তবু মারল।’’ মহকুমাশাসক নিতিন সিংহানিয়া জানান, অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত করা হবে।

থানার অবশ্য দাবি, জমিতে কাজ করার সময় বেলেরহাট এলাকার এক যুবকের মোবাইল চুরি যায়। পাশেই ছিল এরশাদ-সহ কয়েক জন কিশোর। থানায় এরশাদ জানায়, সে মোবাইলটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরে খোঁজাখুঁজিও করে। তবে ওই যুবক অভিযোগ না জানাতে চাওয়ায় এরশাদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মারের দাগ নিয়ে আইসি সোমনাথ দাসের দাবি, ‘‘অভিভাবকেরাই শাসন করেছেন।’’ তপনবাবুরও দাবি, ১১ অগস্ট তাঁর চোখের অস্ত্রোপচার। তার আগে বাড়ি থেকে বেরই হননি তিনি। পুরোটাই চক্রান্ত।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘অভিযোগ হয়েছে শুনেছি। কিন্তু সত্যতা যাচাই করা দরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement