রাজ্যের মুখ্যসচিব হচ্ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র
প্রত্যাশামতোই রাজ্যের মুখ্যসচিব হতে চলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর, বুধবার অবসর নিচ্ছেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। ১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রাজ্যের বর্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন। এই খবর জানিয়ে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। আলাপনের জায়গায় স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিবের দায়িত্ব পেতে চলেছেন বর্তমান অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। হরিকৃষ্ণের জায়গায় অর্থসচিব হচ্ছেন মনোজ পন্থ। বিদায়ী মুখ্যসচিব রাজীব আগামী ৩ বছর রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
রাজীবের জায়গায় পরবর্তী মুখ্যসচিব হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে জল্পনা চলছিল। তবে দৌড়ে এগিয়েছিলেন আলাপনই। কারণ, রাজ্যে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদে কর্মরত আমলাদের মধ্যে আলাপনই সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তা ছাড়া, আগামী বছর রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের প্রশাসনের ভার অভিজ্ঞ হাতে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সেদিক দিয়েও আলাপন অন্যদের চেয়ে এগিয়েছিলেন বলেই প্রশাসনের অন্দরে অনুমান ছিল। এ দিন নবান্নের সেই অনুমানেই সিলমোহর দিল।
রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি।
রদবদলের কথা টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলাপনের জায়গায় ১ অক্টোবর থেকে স্বরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব সামলাবেন ১৯৮৮ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার হরিকৃষ্ণ। অর্থাৎ, বিধানসভা ভোটের সময় স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকার কথা হরিকৃষ্ণেরই। তাঁর জায়গায় অর্থসচিবের দায়িত্ব পাচ্ছেন ১৯৯১ সালের ব্যাচের আইএএস মনোজ।
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভের আঁচ রাজধানীতে, পুড়ল ট্রাক্টর, পঞ্জাবে অনড় চাষিরা
আরও পড়ুন: দেশে ৬০ লক্ষ মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৫০ লক্ষ
১৯৮৭ সালের ব্যাচের আইএএস আলাপন রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করেছেন। কর্মজীবনের শুরুতে মহকুমাশাসক, আন্ডার সেক্রেটারি এবং একাধিক জেলার জেলাশাসক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ছাড়াও পুর, পরিবহণ এবং শিল্পের মতো দফতরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বর্তমান সরকারের সময় কিছু দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনিই। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁর সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পেশাগত জীবনে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে অনেকেই বলছেন, রাজ্য প্রশাসনের আনাচকানাচ তাঁর চেনা। প্রশাসনিক মহলের একটি বড় অংশের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন সময়ে সরকারের বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন আলাপন। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কাজের কদর করেন। শীর্ষস্তরের আমলা হিসেবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম আস্থাভাজন হিসেবেও পরিচিত। ফলে সেদিক দিয়েও মুখ্যসচিব পদের সবচেয়ে ওজনদার দাবিদার ছিলেন আলাপনই।