অধীর চৌধুরী। —ফাইল ছবি।
রাজ্যে নতুন কমিটি গড়ার জন্য দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা হাই কমান্ডকেই পূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কমিটি গঠনের আগে রাজ্যের নেতাদের ডেকে মতামত নিতে পারে এআইসিসি। সদস্য সংগ্রহ পর্বের পরে নিয়ম মেনে কংগ্রেসে নতুন কমিটি হয়। বাংলায় সেই প্রক্রিয়া অনেক দিন ধরেই বকেয়া ছিল। তবে লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠক ডেকে পরবর্তী কমিটি গড়ার ভার আনুষ্ঠানিক ভাবে এআইসিসি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কমিটি গড়া নিয়ে তৎপরতার মাঝেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও পদের জন্য ‘লালায়িত’ নন।
লোকসভা ভোটে বহরমপুর থেকে স্বয়ং অধীরের হার এবং রাজ্যে কংগ্রেসের একটি আসন কমে যাওয়ার পরে তিনি আর প্রদেশ সভাপতি থাকবেন কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। সংসদেও অধীরের অনুপস্থিতিতে এখন যারপরনাই উল্লসিত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস! তারা নানা প্রশ্নে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছে। এমতাবস্থায় অধীর এর আগে বলেছিলেন, তিনি ইস্তফা দেননি। তবে তিনি ‘অস্থায়ী সভাপতি’। কমিটি সংক্রান্ত প্রশ্নে সোমবার বহরমপুরে অধীরের মন্তব্য, ‘‘প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ স্থায়ী নয়। কেউ এখানে আমাকে ৯৯ বছরের লিজ় দিয়ে বসে নেই!’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কোনও পদের জন্যই আমি লালায়িত নই! বাংলার সর্ব স্তরের কংগ্রেস কর্মী এবং মানুষ জেনে রাখুন, আমি কোনও দিন পদের জন্য লালায়িত ছিলাম না, এখন নই, কোনও দিন থাকবও না।’’ দলের অন্দরে একাংশের প্রশ্ন, প্রকারান্তরে অধীর কি ‘অব্যাহতি’ই চাইছেন?
এরই মধ্যে এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জীবন ও কাজের কথা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিধানচন্দ্রের ১৪৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে। সেখানে ছিলেন প্রদীপ, প্রীতম ঘোষ, শুভঙ্কর সরকার, কৃষ্ণা দেবনাথ, দীপ্তিমান ঘোষ, অসিত মিত্র, তপন আগরওয়াল, সুমন রায়চৌধুরী প্রমুখ। স্মরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বাদল ভট্টাচার্য। সেখানেই প্রদীপ অভিযোগ করেছেন, ‘‘অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে এই প্রজন্মকে বিধানচন্দ্র রায়ের কথা ও তাঁর সৃষ্টিকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কংগ্রেসকে প্রতিহত করতে হবে।” বহরমপুরে বিধান-স্মরণে শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর।