রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এ বারে বোমা পড়ল রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাড়ির সামনে। যেখানে মুকুটমণির বাড়ি, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজনঘাট-টুঙি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাঘাটা এলাকায় রবিবার রাতে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, দুই দলের সংঘর্ষে মুকুটমণির ভাই অনুপম অধিকারী-সহ ছয় বিজেপিকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই তৃণমূলকর্মীও। এই ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে তৃণমূলকর্মী মনোরঞ্জন বিশ্বাস ও অরবিন্দ বিশ্বাসের পাশাপাশি ওই এলাকার বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীদাম হালদারের ছেলে তথা বিজেপিকর্মী রনি হালদারও রয়েছেন। সোমবার ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন কৃষ্ণনগর আদালতের বিচারক।
বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এ দিন এলাকাতেই ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই সোমবার দুপুরে মাজদিয়া বাজারে কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। দাবি, অভিযুক্ত সব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করতে হবে। পরে মুকুটমণি দাবি করেন, “তৃণমূল হেরে যাবে বুঝতে পেরে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে।” তৃণমূলের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোষ চৌধুরীর পাল্টা অভিযোগ, “মুকুটমণির ভাই সমাজবিরোধী। পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে যাচ্ছে বুঝে ওরাই বোমা ফাটিয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করে।’’ কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন,“অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”
ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সদস্য বিজেপির কল্পনা সরকার। তাঁর বদলে এ বারে বিজেপি প্রার্থী করেছে তাঁর ভাই শ্যামল হালদারকে। স্থানীয়দের দাবি, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কল্পনার বাড়ির সামনে সকেট বোমা ফাটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কল্পনা বেরিয়ে এসে দেখেন, কিছু তৃণমূলকর্মী দলের ব্যানার, পতাকা তৈরি করছেন। কল্পনা তাঁদের কাছে গিয়ে বোমাবাজির কারণ জানতে চান। তখনই ঝামেলার সূত্রপাত। কাছেই মুকুটমণির বাড়ি। তাঁর ভাই-সহ বেশ কিছু বিজেপি নেতা-কর্মী ছুটে আসেন। দু’পক্ষের মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।