বিজেপি-র ঘরোয়া কোন্দল গড়াল আদালতেও। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল রাজ্য বিজেপি-রই বিক্ষুব্ধ একটি অংশের তরফে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের এজলাসে দায়ের হওয়া ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন রাহুলবাবু। তা ছাড়া, কমিশনকে দেওয়া তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্যও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। রাহুলবাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানোর জন্য বহু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করছেন বিজেপি-র একাংশ। কিন্তু তাতে এখনও ফল মেলেনি। সে জন্যই এ বার তাঁরা আদালতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন বলে দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা।
বিজেপি সূত্রের খবর, ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটে কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় নিজেকে কলা বিভাগের স্নাতক বলে দাবি করেন রাহুলবাবু। অথচ, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় তিনি নিজেকে বাণিজ্য বিভাগের স্নাতক বলে দাবি করেন। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর প্রকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অজয় হরিতওয়াল নামে এক ব্যক্তি। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনকে রাহুলবাবুর দেওয়া হলফনামাতেই দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ সালে তাঁর ৩২ লক্ষ টাকার বেশি সম্পত্তি ছিল, ২০১৪ সালে যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। রাহুলবাবুর মতো এক জন পুরো সময়ের রাজনৈতিক নেতার এত অল্প সময়ের মধ্যে কী করে এত সম্পত্তি বাড়ল, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি-রই একাংশ। যদিও রাহুলবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি এই মামলার কথা জানি না। এই প্রথম শুনলাম!’’