West Bengal Lockdown

রেশনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, ডাল নিয়ে সরব রাজ্য

এক মাসের জন্য বরাদ্দ রেশন একলপ্তে শুক্রবার থেকেই পাওয়া যাবে বলে সরকারি ঘোষণা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২০ ০২:১৫
Share:

কোথাও সরকারি ঘোষণার চেয়ে কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ। কোথাও আবার ওজনে কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভ। লকডাউনের মধ্যে রেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে এমনই কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটল রাজ্যের নানা প্রান্তে।

Advertisement

এক মাসের জন্য বরাদ্দ রেশন একলপ্তে শুক্রবার থেকেই পাওয়া যাবে বলে সরকারি ঘোষণা হয়েছিল। তার পরে বেশ কিছু জায়গা থেকে অব্যবস্থার অভিযোগ আসায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, যে কোনও বিষয়েই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নিজেদের মধ্যে সংঘাতে ব্যস্ত। বিপর্যয়ের সময়ে বিপন্ন মানুষের জরুরি প্রয়োজন মেটানোয় দুই সরকারের ব্যর্থতাই প্রকট হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র তিন লক্ষ মেট্রিক টন ডাল পাঠিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য তা বিলি করতে পারছে না, মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘সারা দেশেও তিন লক্ষ মেট্রিক টন ডাল লাগে না! ওঁদের কোনও ধারণাই নেই চাল-ডাল সম্পর্কে। আমাদের রাজ্যে দেওয়ার জন্য ১৪ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ডাল প্রয়োজন। তার মধ্যে নাফেড এখনও পর্যন্ত ৪২২৭ মেট্রিক টন দিয়েছে বলে সমস্যা হচ্ছে।’’

তবে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, দূরত্ব বিধি মেনে রেশন বণ্টন হচ্ছে বলে কোথাও কোথাও একটু সময় লাগছে। এক দিনেই ২০ থেকে ২২ লক্ষ মানুষ রেশনের চাল তুলেছেন বলে মন্ত্রীর দাবি। স্থানীয় সূত্রের খবর, কোলাঘাটের সিদ্ধা বাজার এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি রেশন দোকানে নির্ধারিত ওজনের থেকে কম খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে এ দিন সেখানে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে যান কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পুর-স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি শ্রমিক দিবসে

চাল-চিনি কম দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ও ডোমকলের দু'টি গ্রাম। ফরিদপুর এবং জ্যোৎকানা নামের ওই দু'টি গ্রামে এ দিন দুই রেশন ডিলার সরকারি ঘোষণার চেয়ে কম পরিমাণে সামগ্রী দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। তার জেরে দুই গ্রামের কয়েকশো গ্রামবাসী ঘিরে ধরেন দুই ডিলারকে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ডিলারদের দাবি, চাল-চিনি কম আসাতেই গ্রাহকদের নির্দিষ্ট বরাদ্দ তাঁরা দিতে পারেনি‌। তবে জেলা খাদ্য নিয়ামক সাধন কুমার পাঠক বলেন, ‘‘কিছু গরমিল ছিল। তাই ওই দুই ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement