ফাইল চিত্র।
দিল্লি থেকে ফেরার কথা থাকলেও শুক্রবার ফিরছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাঁর ফেরার কথা থাকলেও, শনিবার পর্যন্ত রাজধানীতে থাকবেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফের দেখা করার জন্য অতিরিক্ত সময় দিল্লিতে কাটাবেন রাজ্যপাল।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল শুক্রবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে আসবেন রাজ্যপাল। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ সেই কর্মসূচিতে পরিবর্তন হয়। সূত্রের খবর, ওই দিনই রাজ্যপাল ফের শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সময়ও চান তিনি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সবুজ সঙ্কেত দিলেও অমিত কখন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তা জানানো হয়নি। ফলে নির্দিষ্ট সময় না জানতে পেরে শনিবার পর্যন্ত দিল্লিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধনখড়। এর আগে বুধবার অমিতের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। ফের তাঁদের সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে ফের কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল? কী এমন জরুরি বিষয় ছিল যার জন্য তড়িঘড়ি ফের দেখা করার প্রয়োজন পড়ল? রাজভবনের তরফ থেকে অবশ্য এর কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। মজার ছলে অনেকে মনে বলছেন, দুই ওজনদার ব্যক্তির বৈঠকের পরই হয়তো আসল কারণ বোঝা সম্ভব হবে। কারণ তারপরই রোজকার মতো টুইট করে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করবেন রাজ্যপাল।
গত মঙ্গলবার দিল্লি সফরে যান রাজ্যপাল। সেখানে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু না জানালেও রাজভবন সূত্রে খবর, ভোট-পরবর্তী হিংসা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট জমা দিতে দিল্লিতে গিয়েছেন, রাজ্যপাল। সেই ইঙ্গিত অবশ্য আগেই মিলেছিল। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে সোমবার দলের বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনার পরই রাজ্যপালের দিল্লি যাওয়ার খবর সামনে আসে। এমনকি রাজধানীতে পাড়ি দেওয়ার আগে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় চিঠিও লেখেন তিনি। সেই চিঠি জনসমক্ষে নিয়ে আসার জন্য উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে, ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে তিন বার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথা জানান মমতা। ফলে নতুন করে সংঘাত তৈরি হয় নবান্ন ও রাজভবনের মধ্যে।