সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর উড়ান সংস্থার

সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা অভিযোগ কী ভাবে আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়, ভাবনা চলছে তা নিয়েও। কারণ, বিমানে কোনও অসুবিধা, কর্মীর দুর্ব্যবহার— এখন সবই আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভেঙে যাওয়া ঘটম হয়তো ফেরানো যাবে না। কিন্তু শিল্পী কার্তিক সুব্রমণিয়নের ভাবাবেগ মাথায় রেখে কী করা যায়, এখন তা নিয়েই ভাবতে বসেছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থা।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা অভিযোগ কী ভাবে আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়, ভাবনা চলছে তা নিয়েও। কারণ, বিমানে কোনও অসুবিধা, কর্মীর দুর্ব্যবহার— এখন সবই আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লিখছেন, ‘‘ওই সংস্থার বিমানে আর চড়বই না।’’ এতে চিন্তিত বিমান সংস্থাগুলি।

গত সোমবার সকালে ইন্ডিগোর উড়ানে কলকাতা থেকে চেন্নাই ফিরে যান তামিল ঘটম-শিল্পী কার্তিক সুব্রমণিয়ন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। ফিরে শিল্পী দেখেন ফাইবারের বাক্সবন্দি তাঁর বাদ্যযন্ত্র ঘটম ভেঙে চৌচির! ভাঙা ঘটমের ছবি দিয়ে কার্তিক ফেসবুকে লেখেন— ‘‘আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বিমানসংস্থার।’’ মুহূর্তে শোরগোল নেট-দুনিয়ায়। চাপে পড়ে বৃহস্পতিবার ইন্ডিগো ফোন করে কার্তিককে। ক্ষমা চেয়ে জানায়, ক্ষতিপুরণের কথাও ভাবা হচ্ছে।

Advertisement

৫ মার্চ আবার দিল্লি-কলকাতা উড়ানে ৮৮ বছরের অজিত মিত্রের আসন বদল করেল ইন্ডিগো। সে জন্য অজিতবাবুর যা ভোগান্তি হয়েছিল, সে কথা ফেসবুকে তুলে দেন তাঁর নাতনি রাই সেনগুপ্ত। পোস্টে লাইক পড়ে ২ হাজারেরও বেশি। শেয়ার করেন ১৩৬৫ জন। চাপে পড়ে অজিতকে বিনামূল্যে তাদের বিমানে যাতায়াতের টিকিট পাঠায় ইন্ডিগো।

ইন্ডিগোর বক্তব্য, এমন দু’টি ঘটনার পরে নিয়মিত ফেসবুকে নজর রাখার নির্দেশ এসেছে উপর মহল থেকে। ‘‘ফেসবুকে পোস্ট হওয়া এমন ঘটনা থেকে আমরা ছোট ছোট পরিবর্তন এনে যাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা দিতে পারি’’ — বলেছেন সংস্থারই এক কর্ত্রী।

গত শুক্রবার এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার উড়ান বিভ্রাটে আটকে পড়া শতাধিক যাত্রীদের আবার অনেকে বিমানবন্দরে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিতে থাকেন উষ্মা। তাই মাথাব্যথা বাড়ছে সবারই।

এয়ার ইন্ডিয়া ও জেট এয়ারওয়েজের মতো সংস্থাও তাই জোর দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারিতে। তবে এদের দাবি, টুইটারের প্রভাব ফেসবুকের চেয়েও বেশি। কারণ, সেখানে বিমানসংস্থাকে টুইট করতে পারছেন সংশ্লিষ্ট যাত্রী। সম্প্রতি টুইটার ব্যবহার করেই কী ভাবে বিমানবন্দরে হারানো একটি বাচ্চার খোঁজ মিলেছে, তার উদাহরণ দিচ্ছে এআই। সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘আমরা রোজ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টুইটারে চোখ রেখে বসে থাকি।’’ সেই কর্তার দাবি, নতুন প্রকল্প চালু হলে, তা ফেসবুকে দেওয়া হয়। কিন্তু, যাত্রীদের অভিযোগ সরাসরি টুইটারেই চলে আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement