বাকিবুর রহমান। —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে বুধবার সকাল ৭টায় কৈখালির অভিজাত আবাসনে হোটেল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করেছিল ইডি। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু আগে সেই বাকিবুরকে নিয়ে ফ্ল্যাট ছাড়ল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার টিম। সঙ্গে নিয়ে গেল প্রচুর নথিপত্র। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেনি ইডি। বাকিবুরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে ।বা
সিজিও কমপ্লেক্সে বাকিবুর রহমান। —নিজস্ব চিত্র।
হোটেল ব্যবসায়ী বাকিবুরের যোগাযোগ অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গেই রয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। আর এই বাকিবুর রাজ্যের রেশন ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে জড়িত বলেও তদন্তকারীদের অনুমান। সূত্রের খবর, বাকিবুরের একটি চালকল রয়েছে। ওই সংক্রান্ত একাধিক নথিও পাওয়া গিয়েছে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে। কয়েক দিন আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। যদিও মধ্যমগ্রামের সেই অভিযান ছিল পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে।
বৃহস্পতিবার বাকিবুরের পাশাপাশি, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুচরের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। বাকিবুরের ওই ঘনিষ্ঠের নাম অভিষেক বিশ্বাস। বাড়ি চিনার পার্কে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তল্লাশির পাশাপাশি, জেরাও করছেন অভিষেককে।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বুধবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করেছিল ইডি। বুধবার ইডি গিয়েছিল নদিয়ার বিভিন্ন রেশন দোকান এবং দোকানের মালিকের বাড়িতে। একই দিনে সল্টলেক এবং নিউ টাউনে অনেকগুলি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এর পাশাপাশি, কৈখালিতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় বাকিবুরের বাড়িতে।