আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিম মেদিনীপুর সফর। তার প্রস্তুতি সারতে গিয়ে ছুটি ভুলেছে জেলা প্রশাসন!
শনিবার সরকারি দফতরগুলো বন্ধই থাকে। কিন্তু এ দিন মেদিনীপুর কালেক্টরেটের বেশ কিছু দফতর খোলা ছিল। জেলাশাসকের অফিস, অতিরিক্ত জেলাশাসকের অফিস, জেলা পরিকল্পনা আধিকারিকের অফিস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের অফিসে একাংশ কর্মী এসেছেন। প্রশাসনিক কর্তারাও এসেছেন। কাজ হয়েছে আর পাঁচটা দিনের মতো।
শনিবার বিকেলে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে এক বৈঠকও হয়। ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা-সহ স্বাস্থ্য, সেচ, তথ্য-সংস্কৃতি, পূর্ত, প্রাণীসম্পদ, কৃষি, যুবকল্যাণ প্রভৃতি দফতরের কর্তারা। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী যে সব প্রকল্পের শিলান্যাস- উদ্বোধন করবেন, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়। জেলাশাসক বলেন, “শনিবার অফিস খোলা ছিল, বৈঠকও হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তার আবার মন্তব্য, “সামনে আর হাতে গোনা ক’দিন। অনেক কাজ। তাই ছুটি ভুলতে হয়েছে!” আজ, রবিবারও কালেক্টরেটের একাংশ অফিস খোলা থাকার কথা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে তিনি ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে পুলিশের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেবেন। তারপর পর্যটন দফতরের রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাত কাটিয়ে শুক্রবার দুপুরে জামবনির বাণী বিদ্যাপীঠ হাইস্কুল মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে ৩০৬টি প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন হবে সে দিন। উপভোক্তাদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “কোন প্রকল্পের কতজন উপভোক্তা সভায় যাবেন, কী ভাবে তাঁরা পৌঁছবেন, সঙ্গে কে থাকবেন, সব দিকই তো খতিয়ে দেখতে হয়। ফলে, কাজের একটু চাপ থাকেই।”
দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পরে অবশ্য পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বার সভা করেছেন নারায়ণগড়ে। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্য জঙ্গলমহলের জামবনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নির্বিঘ্ন এবং সুষ্ঠু ভাবে করতে তাই প্রশাসনের তৎপরতার অন্ত নেই।