ঘটনাস্থলে সিআইডি। —ফাইল চিত্র।
নিমতিতা ষ্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় জঙ্গিযোগ উঠে এল। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান সিআইডি-র তদন্তকারীদের। রবিবার ওই স্টেশনে সিআইডি আধিকারিকেরা ছাড়াও পৌঁছন নিমতিতা এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মা। এই বিস্ফোরণ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।
তদন্তকারীদের অনুমান, রাজ্যের রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে খুনের ছকই ছিল দুষ্কৃতীদের। সেই সঙ্গে নিমতিতা স্টেশনে তাদের বড় ধরনের নাশকতারও পরিকল্পনা ছিল বলে অনুমান। ইতিমধ্যেই যে লোহার পাত উদ্ধার করা হয়েছে তা থেকেই এমনটা অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
রবিবার বিকেলে নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শন করেন এডিজি (সিআইডি) অনুজ শর্মা। সিআইডি আধিকারিকদের সঙ্গে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন তিনি।
তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান হিসাবে অনুজ শর্মা ছাড়াও জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুভামশি নিমতিতা ষ্টেশনে এবং ঘটনাস্থলে খতিয়ে দেখেন। নিমতিতার ঘটনায় জঙ্গিযোগের সূত্র উঠে আসার পর থেকেই তদন্তে আরও অগ্রগতি আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার অনুজ শর্মা বলেন, ‘‘নিমতিতার ঘটনায় তদন্ত চলছে। সিট-এর পক্ষ থেকে আজ তদন্ত করতে এসেছি। তদন্তে স্বার্থে বেশি কিছু বলা যাবে না। তদন্ত যেমন এগোবে, তেমন জানানো হবে।’’
এই বিস্ফোরণ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘যদি জঙ্গিযোগ থাকার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ নয়, সিবিআই তদন্ত হোক। জঙ্গি না দুষ্কৃতী, নাকি তৃণমূলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কেউ, সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত। তদন্ত হল না। অথচ কোথাকার জঙ্গি কী ভাবে এল, সেটাও তদন্ত করা হোক।’’ তাঁর দাবি, ‘‘জাকির হোসেনকে খুন করার প্রচেষ্টা তৃণমূলের দলের মধ্যে হয়েছে।’’