ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইট করা হয়। সেই টুইট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় দেশ জুড়ে। অধীরের দাবি, তিনি ওই পোস্ট করেননি। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। সেই অভিযোগ জানিয়ে এ বার এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। যদিও অধীর নিজে এই অভিযোগ দায়ের করেননি। তাঁর হয়ে থানায় এফআইআর করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার অধীরের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট হওয়া বিতর্কিত ওই টুইটে ১৯৮৪ সালের শিখ হিংসার প্রসঙ্গ ছিল। ওই টুইটে লেখা ছিল, ‘যখন কোনও বড় গাছ পড়ে, মাটি কেঁপে ওঠে।’ ইন্দিরা গাঁধী হত্যার পর ‘শিখ-নিধন’-এর ঘটনায় একাধিক কংগ্রেস নেতার নাম জড়িয়েছিল সেই সময়। তার প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজীব। স্বাভাবিক ভাবে অধীরের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট হওয়া টুইটটি বিতর্ক উস্কে দেয়। পরে অবশ্য সেই টুইটটি মুছে ফেলা হয়।
অধীর দাবি করেন, তিনি ওই বিতর্কমূলক পোস্টটি করেননি। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবে অপদস্থ করার জন্যই কেউ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছেন, এই মর্মে শনিবার দুপুরে দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউ থানার পাশাপাশি কলকাতার এন্টালি থানাতে অভিযোগ করেন অধীর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, অধীর লোকসভার সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার কারণে কলকাতাতেও অভিযোগ দায়ের করা হল। শহরে কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবন যে হেতু এন্টালি থানার আওতায় পড়ে, তাই সেখানে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
অধীরের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। বহরমপুরের সাংসদকে তাঁর মোবাইল ফোন-সহ সমস্ত যন্ত্র (যা দিয়ে তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে থাকেন) জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে অধীরকে সহযোগিতা করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে।