মিছিল শেষে বক্তৃতা অধীর চৌধুরীর। নিজস্ব চিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রথম মিছিলে ভিড় হল চোখে পড়ার মতো। গোষ্ঠী বিভাজনের ছায়া সরিয়ে কংগ্রেসের সব শিবির এবং নেতাদের দেখা গেল রাজপথে। মিছিল ঘিরে দলের কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহে উজ্জীবিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে তৃতীয় বিকল্প এবং জোট সরকারকে ক্ষমতায় আনার ডাক দিলেন।
বিধান ভবন থেকে শনিবার বিকালে ধর্মতলা পর্যন্ত ভিড়ে ঠাসা মিছিলে সামনে ছিলেন অধীরবাবুই। পিছনের দিকে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যেরা। যুব নেতা রোহন মিত্র থেকে শুরু করে শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রায় সব নেতাকেই দেখা গিয়েছে মিছিলে শামিল হতে। মান্নান বলেন, ট্রেন বা অন্য গণ-পরিবহণ তেমন না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জেলা থেকে কংগ্রেসের সব অংশের কর্মীরা যে ভাবে মিছিলে এসেছেন, এমন ঐক্যবদ্ধ চেহারা ধরে রাখার কাজই দলের নেতৃত্বকে করতে হবে। একই সুর প্রদীপবাবুরও।
মিছিল শেষে হ্যান্ড মাইক নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই শাসক দলকেই নিশানা করেছেন অধীরবাবু। তাঁর বক্তব্য, জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের মাথাব্যথা নেই। বিদ্যুতের মাসুল হোক বা রাজ্যে বেকারত্ব, সবই বাড়ছে। এই সূত্রেই অধীরবাবুর আহ্বান, ‘‘তৃণমূলের কাটমানির মডেল এ রাজ্যের মানুষ আর পছন্দ করছেন না। তাঁরা ‘হাথরস মডেল’ও চান না। একটা উনিশ বছরের মেয়েকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করে পুলিশ দিয়ে রাতের অন্ধকারে ষেখানে পুড়িয়ে দেওয়া হল, সেখানে বিজেপির সরকার। তাদের হাতে বাংলার দায়িত্ব মানুষ দেবেন না। বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে আমরাই তৃতীয় বিকল্প গড়ব।’’ প্রদেশ সভাপতির সংযোজন, ‘‘আমাদের দুর্বল ভেবে যাঁরা উড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা ভুল করছেন। দিদি-মোদীর জয়ধ্বনির মাঝে মানুষের দুরবস্থা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিকল্প জোট সরকারকে ক্ষমতায় আনার শপথ নিতে হবে আমাদের।’’ পরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেও দাবি জানিয়ে এসেছেন অধীরবাবু।