প্রতীকী ছবি।
অতিরিক্ত ট্রেন দেওয়ার কথা সপ্তমী থেকে। কিন্তু চতুর্থী থেকেই পুজোর ভিড় রাস্তায় নেমে পড়ায় চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। কিন্তু ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত ট্রেন মিলবে সেই সপ্তমী থেকে।
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানাচ্ছে, অন্যান্য বছরের মতো এ বারেও মহাসপ্তমী থেকে পুজোর চার দিন সারা রাত ট্রেন চালানো হবে। তার জন্য যাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষায় বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে দুই রেলই। উচ্চপদস্থ অফিসারদেরও স্টেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে উত্তর শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনে যাতায়াতের জন্য সারা রাত পর্যায়ক্রমে সব লোকাল ট্রেনই চলবে। শিয়ালদহ থেকে নৈহাটি, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর তো বটেই, বনগাঁ লাইন ও ডানকুনির দিকেও ট্রেন থাকবে। একই ভাবে হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে রাত ১২টার পরেও চলবে ট্রেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খবর, হাওড়া থেকে খড়্গপুর, মেচেদা, পাঁশকুড়া ও আমতা পর্যন্ত রোজকার ট্রেনের সঙ্গে রাত ১২টার পরে চালানো হবে বাড়তি ট্রেন। ভোর থেকে যথারীতি শুরু হয়ে যাবে নিয়মিত ট্রেনের দৌড়।
জিআরপি তো আছেই। ভিড় সামলানোর জন্য স্টেশনে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত আরপিএফ জওয়ান। সঙ্গে থাকছে মহিলা বাহিনীও। পুজোয় সব থেকে বেশি ভিড় হয় শিয়ালদহে। সেখানে প্ল্যাটফর্মগুলিতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে দিয়েছে জিআরপি। নামানো হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। সারা রাত খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। অভিযোগ জানাতে চালু থাকবে ১৮২ মোবাইল নম্বরও।
বাড়তি আয়োজনের কথা ভাবা হয়েছে সপ্তমী থেকে দশমীর জন্য। কিন্তু চতুর্থী থেকেই ভিড় উপচে পড়ায় পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রেল। রবি ও সোমবার দু’দিনই দুপুর থেকে শহরতলির হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে এসেছেন কলকাতায়। পুজোর সেই বাড়তি ভিড়ে লোকাল ট্রেনে নাভিশ্বাস উঠছে নিত্যযাত্রীদের।