অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের দুই তদন্তকারী সংস্থাকে সামনে রেখে ফের বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই-কে যত কাজে লাগাবে, তত আমাদের আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়বে। তৃণমূল তত শক্তিশালী হবে!’’ সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনেক চেষ্টা করেও আমাকে আত্মসমর্পণ করাতে পারেননি!’’ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের আবেদনও এ বার পুজোর সময় থেকেই শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চমীর দুপুর পর্যন্তও পুরোদস্তুর রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছে রাজ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া ও বিষ্ণুপুরে এ দিন দু’টি সভায় অংশ নিয়ে পুরোপুরি রাজনীতির মেজাজেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘ওদের (বিজেপি) কাছে অর্থ আছে, এজেন্সি আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। তৃণমূলের কাছে কিছু নেই। শুধু মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যের মানুষ সাক্ষী আছেন, আমাকে কালিমালিপ্ত করতে কী ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা, সংবাদমাধ্যম ও বিচারব্যবস্থার একাংশকে ব্যবহার করা হয়েছে।’’
রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার প্রসঙ্গ তুলে এ দিনও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘উৎসবের মরসুমে রাজনৈতিক লড়াই করা যায় না। তার পরে আমাদের ন্যায্য পাওনা না পেলে নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে।’’ সেই সঙ্গেই এ দিনও তিনি জানিয়েছেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে কেন্দ্র বকেয়া টাকা না দিলে রাজ্য সরকারই তা দেবে। অভিষেক বলেন, ‘‘আপনাদের প্রাপ্যের দাবিই আসন্ন লড়াইয়ে (লোকসভা ভোট) আপনাদের অগ্রাধিকার হোক। যাঁরা ভোটের সময় ভোট নিতে আসেন, তাঁদের প্রত্যাখ্যান করুন!’’
অভিষেকের এ দিনের বক্তব্যের জবাবেও দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনেছে বিজেপি। রাজ্য দলের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভাঙা রেকর্ড বেজে চলেছে! সময় অনেক এগিয়েছে। মানুষ সব দেখে বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা আর প্রতিক্রিয়া দিয়ে উৎসবের দিনে তাঁদের বিরক্তির উদ্রেক করতে চাই না!’’