West Bengal Panchayat Election 2023

বিশ্বজিৎকে টেনে দুর্নীতি নিয়ে তোপ

বুধবার কালনা ২ ব্লকের বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের মাঠের সভাস্থলে অভিষেক পৌঁছন দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ০৭:৫২
Share:

কালনার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল

মূল্যবৃদ্ধি থেকে দুর্নীতি, কালনার সভা থেকে নানা তিরে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে গেলেই দুর্নীতির দাগ মুছে যায়, এমন দাবি করে সে প্রসঙ্গে তুললেন কালনার প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর নামও।

Advertisement

বুধবার কালনা ২ ব্লকের বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের মাঠের সভাস্থলে অভিষেক পৌঁছন দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ। তার খানিক আগে বৃষ্টি নামে। তবে সভাস্থলে ছাউনি ছিল। সভায় ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য মুখপাত্র দেবপ্রসাদ বাগ, কালনা ২ ব্লক সভাপতি প্রণব রায়, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল প্রমুখ। তৃণমূল নেতাদের দাবি, সভায় ২৫ হাজারের বেশি লোক হয়েছিল। সভাস্থল ছাড়াও হেলিপ্যাড, আশপাশের গাছতলা, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকে। পুলিশ সূত্রের হিসাব, ১০-১২ হাজার লোক ছিল সভাস্থলে। বিজেপির যদিও দাবি, মেরেকেটে হাজার পাঁচেক মানুষ এসেছিলেন।

অভিষেক এ দিন জানান, রেশন ডিলারদের একাংশ আদালতে গিয়ে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প আটকে রেখেছিলেন। দু’আড়াই মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে এই আইনি জটিলতার সমাধান হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ছ’মাসের মধ্যে আপনার দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসবে প্রতিনিধি।’’ গ্যাস, সর্ষের তেল থেকে পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। তার পাশাপাশি বার বার লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প থেকে রাজ্যের মানুষ কতটা উপকৃত হচ্ছেন, তা তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

Advertisement

একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় এ রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে অভিযোগ তুলে দিল্লিতে গিয়ে অবস্থানের ডাক দেন তিনি অভিষেক। দেড়-দু’মাসের মধ্যে দিল্লি গিয়ে আন্দোলনে নামা হবে বলে দাবি করেন তিনি। প্রয়োজনে সে আন্দোলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শামিল হবেন বলে তাঁর আশ্বাস। তাঁর আরও বক্তব্য, গত আড়াই বছরে ১৫১ বার কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েও এ রাজ্যে দুর্নীতি খুঁজে পায়নি বিজেপির সরকার। অভিষেকের দাবি, ‘‘আগে নিয়ম ছিল চোর চুরি করে জেলে যায়। এখন ভারতবর্ষে চোর চুরি করে বিজেপিতে যায়। বিজেপিতে গেলে সব খুন মাফ।’’ এ প্রসঙ্গেই তিনি টেনে আনেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর নাম। তাঁর কথায়, ‘‘কালনার প্রাক্তন বিধায়ক নিজে মুখে বলেছেন, ক’জনকে চাকরি দিয়েছেন। তাঁকে ক’বার সিবিআই ডেকেছে, ইডি ডেকেছে?’’

বিশ্বজিতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি কোনও প্রভাবশালী নেতা বা মন্ত্রী ছিলাম না। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যও ছিলাম না। তাহলে আমি কী করে চাকরি দিলাম?’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘চাকরি যদি দিয়ে থাকে তা তৃণমূল দিয়েছে। অভিষেককে তো ইডি ডেকেছে। তিনি গিয়ে আমার নাম বলুন না। আমাকে ডাকলে যেতে রাজি আছি।’’ বিজেপির জেলা (কাটোয়া) সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়েরও দাবি, ‘‘আমাদের বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বহু বার বলেছেন, তদন্ত হলে তিনি সহযোগিতা করবেন। তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এ সব মানায় না। রাজ্যে উন্নয়নের বেশির ভাগই তো হচ্ছে কেন্দ্রের টাকায়। ওঁর কথায় মানুষ বিশ্বাস করবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement