বিজেপি ও অমিত শাহকে একযোগে আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র।
বিজেপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গুজরাতে ক্ষমতায় ফিরলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, মঙ্গলবার তা জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই টুইট করে বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রসঙ্গে কটাক্ষ ছুড়ে দেন ডায়মন্ডহাবরের সাংসদ। গুজরাতে ক্ষমতায় ফিরলে ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভূপেন্দ্র পটেল৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়েই মূলত আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
অভিষেক টুইটে লিখেছেন, ‘‘একজন পুতুলনাচিয়ে আর তাঁর বোবা পুতুল, এখন এটাই বিজেপির গল্প। যখন অমিত শাহ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করেছেন, তখন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নীরবে তাকিয়ে আছেন।’’ এর পরেই তিনি বিজেপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘যাদের মধ্যে কোনও গণতান্ত্রিক নীতি নেই, তারা অবশ্যই দেশের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা রাখতে পারবে না।’’
এমনিতে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। গুজরাতের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হওয়াতেই সরব হয়েছেন অভিষেক। দলের সভাপতির ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবে জাতীয় রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ইসুধান গঢভির নাম ঘোষণা করে দিয়েছে আম আদমি পার্টি৷ তাই পাল্টা দিতেই গুজরাতের শাসকদল বিজেপিও তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম জানিয়ে দিল। শাহ এখনও গুজরাতের রাজনীতিতে যথেষ্ট সক্রিয়। তাই তাঁর সক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই গুজরাত দখলে রাখতে চায় বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর সেখানেই দলীয় গণতন্ত্রে সভাপতির ক্ষমতা খর্ব করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিজয় রূপানিকে সরিয়ে ভূপেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি৷ এ বারেও ঘাটলোডিয়া আসন থেকেই ভোটে লড়ছেন তিনি৷ গুজরাতে সপ্তম বার ক্ষমতায় ফেরা লক্ষ্য বিজেপির৷ তাই ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে চাল দিলেন শাহ। তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।