Love

‘দিদিকে বলো’য় প্রেমের না-বলা বাণী 

কেন এমন আর্জি? তবে কি ওই চিকিৎসক কোনও দুর্নীতি চক্র প্রকাশ্যে এনেছিলেন?

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভালবাসা মানে দূরভাষ নিশ্চুপে, শুনে ফেলে অনুভূতির হাসি!

Advertisement

প্রেমদিবসে এ-ও এক ভালবাসার না বলা বাণীর গল্প। সৌজন্যে ‘দিদিকে বলো’।

‘ডাক্তারবাবু খুব ভাল। ওঁকে বদলি করা হল কেন?’ ‘দিদিকে বলো’য় এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন খড়্গপুর গ্রামীণের এক যুবতী। আর ওই চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন একটি ব্লক হাসপাতালে। যুবতীর আর্জি ছিল, ওই চিকিৎসককে ফের পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনা হোক।

Advertisement

কেন এমন আর্জি? তবে কি ওই চিকিৎসক কোনও দুর্নীতি চক্র প্রকাশ্যে এনেছিলেন? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ? মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ আসে জেলায়। যুবতীর সঙ্গে কথা বলেন জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা। সূত্রের খবর, তিনি ফোনে ওই যুবতীর কাছে সমস্যা বিশদে জানতে চান। যুবতী প্রথমে কিছু বলতে চাননি। তাঁর আশঙ্কা ছিল, বেশি কিছু বললে তাঁর নাম প্রকাশ্যে এসে যাবে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তা বোঝান, অভিযোগ নিরসনের পদ্ধতি এটাই। এর পরই রহস্য-ফাঁস।

আরও পড়ুন: এইচআইভি আক্রান্তকে রান্নায় বাধা

জানা যায়, খড়্গপুর গ্রামীণে যেখানে ওই যুবতীর বাড়ি তার পাশের ব্লকের হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ওই চিকিৎসক। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে একাধিকবার গিয়েছিলেন স্নাতকোত্তর ওই যুবতী। ভাল লেগেছিল চিকিৎসককে। কিন্তু মনের কথা বলা হয়নি। ইতিমধ্যে বদলি হয়ে যান অবিবাহিত ওই চিকিৎসক।

ওই যুবতীর ভালবাসা কি তবে একতরফা? যে স্বাস্থ্যকর্তা যুবতীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাঁর জবাব, ‘‘একদমই তাই। ওই ডাক্তার কিছুই জানেন না। বদলি নিয়মমাফিক হয়েছে বলার পরে ওই যুবতীও অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বলে জানান।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘এমন একটি নালিশ এসেছিল। সব জেনে রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে।’’

নিয়মমাফিক হয়েছে সব। গোপন কথাটি শুধু থেকে গিয়েছে নীরব নয়নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement