harassment

Molestation: বৃদ্ধা ও বৌমাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন

শনিবার গভীর রাতে জনকায় এক বাড়িতে তিন যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। তারা এক মহিলাকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২১ ০৫:২৬
Share:

এক বৃদ্ধা ও তাঁর বৌমাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধা ও তাঁর বৌমাকে নির্যাতন করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে খেজুরি ২ ব্লকের জনকায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে খেজুরি থানার পুলিশ। ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর।

Advertisement

শনিবার গভীর রাতে জনকায় এক বাড়িতে তিন যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। তারা এক মহিলাকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে। তিন জনে ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। মহিলাটি কোনও রকমে দৌড়ে ঘরে ঢুকে তাঁর শাশুড়ির কাছে পৌঁছন। মহিলার শাশুড়িকেও বাড়ি থেকে বার করে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। বৃদ্ধার নাক এবং মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল। গুরুতর অসুস্থ ওই বৃদ্ধাকে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় শিল্লাবেড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের শয্যায় ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘কয়েক জন যুবক প্রথমে আমার বৌমাকে বিবস্ত্র করে অত্যাচার করে। পরে বাড়ি থেকে বাইরে বের করে এনে এক সঙ্গে আমার উপরেও চড়াও হয়।’’

নির্যাতনের প্রতিবাদে রবিবার সকালে নির্যাতিতাদের বাড়ির সামনে জড়ো হন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলকে এমন ঘটনার জন্য দায়ী করে বিজেপি প্রতিবাদ মিছিল করে। পরে সেখানে খেজুরি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পৌঁছয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী ও সমর্থকেরা। ঘটনার বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা এবং তাঁর বৌমাকে বিবস্ত্র করে অত্যাচার করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বৃদ্ধাকে গণধর্ষণ করেছে। তাঁর মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে দলের পক্ষ থেকেও লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হবে।’’ বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি।

Advertisement

এ দিকে রবিবার সকালে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে খেজুরি থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে সুবল চাটিয়া এবং শতদল মণ্ডল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শঙ্কর শীট নামে আর এক অভিযুক্ত পলাতক। ধৃত সুবলকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূলের খেজুরি বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন, ‘‘মত্ত অবস্থায় এলাকার তিন যুবক একটি নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। ধৃত সুবল চাটিয়া এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। সে নিজে দলের মহিলা কর্মীর বাড়িতে ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এমন ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ কোনও ভাবে যুক্ত নয়।’’ এ বিষয়ে কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে শ্লীলতাহানির একটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement